স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হচ্ছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট
যুগান্তর প্রতিবেদন
৩১ মার্চ ২০২৩, ০১:১২:২১ | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের কৃষি ও অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট অন্যতম।
বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠান নানা ক্ষেত্রে অতীতে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও বর্তমান মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এটিকে স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলছেন ও একই সাথে এর গবেষণাকে ত্বরান্বিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, ড. আউয়াল মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক বছরে ইনস্টিটিউটটির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সরকার প্রণীত ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অংশের বিজেআরআই এর আওতাভুক্ত ৩৬ টি প্রকল্পের মধ্যে ১২ টি প্রকল্প প্রস্তুতকরণ; বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০-অ্যাক্টিভিটি প্রোগ্রাম এন্ড ফিউচার প্লান বাস্তবায়নে বিজেআরআই এর স্বল্প মেয়াদী (২০৩১-৪১), মধ্য মেয়াদী (২০৪১-২১০০) ও দীর্ঘমেয়াদী (২০৪১-২১০০) কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন; ডেল্টা প্লান ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে সমসাময়িক লার্নিং সেশন প্রদান; পাটকে ২০২৩ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করায় সারা বছরব্যাপী ২৬টি প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা, জামালপুরের মাদারগঞ্জে উপকেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ড. আউয়ালের নির্দেশনায় বহুমুখী পাট পণ্য প্রদর্শন, পলিথিন মুক্ত বিজেআরআই চত্বর গড়া, ক্যাম্পাসে পাট পণ্যের মেলা আয়োজন, নতুন উদ্ভাবিত পাট পাতা ও মেস্তার তৈরি পানীয় প্রদর্শন ইত্যাদি ২০২৩ সালে বর্ষব্যাপী আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পাট চাষের সম্প্রসারনে মডেল চাষি সমিতি গঠনের প্রচেষ্টার সূচনা হিসেবে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কেনাফ বীজ উৎপাদন সমিতি গঠন করেছেন তিনি। পাটের শিল্প ও উদ্যোক্তা খাতে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ড. আউয়াল ইতিমধ্যে মহিমা প্রোডাক্টস, রানু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিস, ইকু জুট মিলসহ বহু প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র নিয়মিত পরিদর্শন করে পাটের গবেষণা ও সম্প্রসারণমূলক কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
একইসাথে কৃষক প্রশিক্ষণ আয়োজনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৮০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান, বীজ বিতরণ ও কারিগরি পরামর্শ প্রদানের কার্যক্রমে জোর তদারকি চালাচ্ছেন তিনি। যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৃষক সংযুক্ত হচ্ছে। ড. আউয়াল নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন গবেষণাগারে যন্ত্রপাতি ক্রয়, গবেষণা প্রকাশনা প্রকাশ, সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর, গবেষণা প্রযুক্তি হস্তান্তর, কর্মরতদের জন্য ই-নথি প্রশিক্ষণ, আইবাস প্লাস প্রশিক্ষণ ও অগ্নি নির্বাপণ মহড়াসহ বহু কর্মশালার আয়োজন করেছেন।
এছাড়াও পাট বীজের আমদানি কমাতে উচ্চ ফলনশীল পাট ও কেনাফ বীজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরনে নানা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী মহোদয় যে দায়িত্ব আমার উপর অর্পন করেছেন তা সঠিকভাবে পালন করে স্মার্ট পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার চেষ্টা করছি এবং সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হচ্ছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশের কৃষি ও অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট অন্যতম।
বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠান নানা ক্ষেত্রে অতীতে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও বর্তমান মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এটিকে স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলছেন ও একই সাথে এর গবেষণাকে ত্বরান্বিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, ড. আউয়াল মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক বছরে ইনস্টিটিউটটির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সরকার প্রণীত ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অংশের বিজেআরআই এর আওতাভুক্ত ৩৬ টি প্রকল্পের মধ্যে ১২ টি প্রকল্প প্রস্তুতকরণ; বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০-অ্যাক্টিভিটি প্রোগ্রাম এন্ড ফিউচার প্লান বাস্তবায়নে বিজেআরআই এর স্বল্প মেয়াদী (২০৩১-৪১), মধ্য মেয়াদী (২০৪১-২১০০) ও দীর্ঘমেয়াদী (২০৪১-২১০০) কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন; ডেল্টা প্লান ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে সমসাময়িক লার্নিং সেশন প্রদান; পাটকে ২০২৩ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করায় সারা বছরব্যাপী ২৬টি প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা, জামালপুরের মাদারগঞ্জে উপকেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ড. আউয়ালের নির্দেশনায় বহুমুখী পাট পণ্য প্রদর্শন, পলিথিন মুক্ত বিজেআরআই চত্বর গড়া, ক্যাম্পাসে পাট পণ্যের মেলা আয়োজন, নতুন উদ্ভাবিত পাট পাতা ও মেস্তার তৈরি পানীয় প্রদর্শন ইত্যাদি ২০২৩ সালে বর্ষব্যাপী আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পাট চাষের সম্প্রসারনে মডেল চাষি সমিতি গঠনের প্রচেষ্টার সূচনা হিসেবে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কেনাফ বীজ উৎপাদন সমিতি গঠন করেছেন তিনি। পাটের শিল্প ও উদ্যোক্তা খাতে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ড. আউয়াল ইতিমধ্যে মহিমা প্রোডাক্টস, রানু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিস, ইকু জুট মিলসহ বহু প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র নিয়মিত পরিদর্শন করে পাটের গবেষণা ও সম্প্রসারণমূলক কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
একইসাথে কৃষক প্রশিক্ষণ আয়োজনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৮০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান, বীজ বিতরণ ও কারিগরি পরামর্শ প্রদানের কার্যক্রমে জোর তদারকি চালাচ্ছেন তিনি। যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৃষক সংযুক্ত হচ্ছে। ড. আউয়াল নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন গবেষণাগারে যন্ত্রপাতি ক্রয়, গবেষণা প্রকাশনা প্রকাশ, সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর, গবেষণা প্রযুক্তি হস্তান্তর, কর্মরতদের জন্য ই-নথি প্রশিক্ষণ, আইবাস প্লাস প্রশিক্ষণ ও অগ্নি নির্বাপণ মহড়াসহ বহু কর্মশালার আয়োজন করেছেন।
এছাড়াও পাট বীজের আমদানি কমাতে উচ্চ ফলনশীল পাট ও কেনাফ বীজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরনে নানা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী মহোদয় যে দায়িত্ব আমার উপর অর্পন করেছেন তা সঠিকভাবে পালন করে স্মার্ট পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার চেষ্টা করছি এবং সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।