যুগান্তর রিপোর্ট ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৮:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) তত্ত্বাবধানে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সাংবিধানিক অনুশাসন অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা হয়।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধা ক্রমানুসারে পাঁচ ধরনের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ সাপেক্ষে চাকরিতে যোগদান করানো হয়।
সোমবার জাতীয় সংসদে সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাঁচ ধরনের কোটাসমূহের মধ্যে মেধাভিত্তিক (জেলা কোটাবহির্ভূত) ৪৫ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৫ শতাংশ এবং জেলার সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ১০ শতাংশসহ মোট শতভাগ।
তবে প্রাধিকার কোটার অপূরণকৃত ১ শতাংশ কোটা প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হয়ে থাকে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি সরকারের সার্কুলারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী না পাওয়া গেলে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার পদ তাদের পুত্র-কন্যা প্রার্থী দ্বারা পূরণ করা হয়।
এছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদ পূরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাসমূহের মধ্যে যে কোটায় পর্যাপ্তসংখ্যক প্রার্থী পাওয়া যাবে না সেখানে যোগ্য প্রতিবন্ধী প্রার্থীর মধ্য থেকে ১ শতাংশ কোটা পূরণ করা হয়।
তিনি বলেন, এসব পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে গত ২০১০ সালের ৫ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিশেষ কোটার অধীনে কোনো জেলার বিতরণকৃত পদের সংখ্যা হতে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হলে অপূর্ণ পদসমূহ জাতীয়ভিত্তিক স্ব স্ব বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) জন্য প্রণীত জাতীয় মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়।
তবে, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার কোনো কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে উক্ত পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হয়ে থাকে।
পাশাপাশি বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূরণকৃত সেসব পদ জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের থেকে পূরণ করা হয়।
এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদসমূহের জন্য বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের কোটার শতকরা হার হচ্ছে এতিম নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী (জেলা কোটাবহির্ভূত) ১০ শতাংশ, জেলা কোটা (জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলাওয়ারি বণ্টন) ৯০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১৫ শতাংশ, উপজাতীয় ৫ শতাংশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্যদের কোটা ১০ শতঅংশ এবং অবশিষ্ট জেলার সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩০ শতাংশ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯