‘জুস নয় ফল খান’
‘জুস নয় ফল খান’ এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আইনের কঠোর প্রয়োগের সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনার।
এতে মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পেশাজীবী সংগঠনের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে জাদুঘর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা মানেই খাদ্যের পর্যাপ্ততা নয়। স্বাস্থ্যরক্ষায় যে গুণগতমান ও পুষ্টিসম্মত খাবার প্রয়োজন, তা বিষমুক্ত, রাসায়নিকমুক্ত ও জীবাণুমুক্ত রাখাটাই বড় চ্যলেঞ্জ। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর অনুশাসন অপরিহার্য।
পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগও একান্ত প্রয়োজন। এর সমান্তরালে প্রয়োজন জনগণের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। জুস খাওয়ার প্রবণতা পরিহার করে জুসের পরিবর্তে সরাসরি ফল খেতে হবে। কারণ ফল ফাইবারে সমৃদ্ধ ও এর পুষ্টিমাণ অনেক উঁচু। জুসে এন্টি অক্সিডেন্ট ২৩-৫৪ শতাংশ হ্রাস পায় এবং জুসে ৩৫ ভাগ চিনি থাকে, যা স্বাস্থ্যকর নয়।
এছাড়া খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় রেফ্রিজারেটরের পরিবর্তে প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে খাদ্যমান বজায় রাখা যায়। রেফ্রিজারেটরে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত খাবার মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ তাতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়।
অনুষ্ঠানে সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার। অংশগ্রহণ করেন খুলনার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্তি পরিচালক শাহিদা সুলতানা প্রমুখ।
বক্তারা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রয়াস ও ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করা আবশ্যক বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘জুস নয় ফল খান’
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৭ জুন ২০২৩, ২৩:১১:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
‘জুস নয় ফল খান’ এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আইনের কঠোর প্রয়োগের সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনার।
এতে মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পেশাজীবী সংগঠনের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে জাদুঘর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা মানেই খাদ্যের পর্যাপ্ততা নয়। স্বাস্থ্যরক্ষায় যে গুণগতমান ও পুষ্টিসম্মত খাবার প্রয়োজন, তা বিষমুক্ত, রাসায়নিকমুক্ত ও জীবাণুমুক্ত রাখাটাই বড় চ্যলেঞ্জ। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর অনুশাসন অপরিহার্য।
পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগও একান্ত প্রয়োজন। এর সমান্তরালে প্রয়োজন জনগণের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। জুস খাওয়ার প্রবণতা পরিহার করে জুসের পরিবর্তে সরাসরি ফল খেতে হবে। কারণ ফল ফাইবারে সমৃদ্ধ ও এর পুষ্টিমাণ অনেক উঁচু। জুসে এন্টি অক্সিডেন্ট ২৩-৫৪ শতাংশ হ্রাস পায় এবং জুসে ৩৫ ভাগ চিনি থাকে, যা স্বাস্থ্যকর নয়।
এছাড়া খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় রেফ্রিজারেটরের পরিবর্তে প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে খাদ্যমান বজায় রাখা যায়। রেফ্রিজারেটরে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত খাবার মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ তাতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়।
অনুষ্ঠানে সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার। অংশগ্রহণ করেন খুলনার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্তি পরিচালক শাহিদা সুলতানা প্রমুখ।
বক্তারা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রয়াস ও ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করা আবশ্যক বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023