তদন্ত শেষে গুমের ঘটনার বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করবে কমিশন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাঝ পথে কোনো তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন নবগঠিত গুম কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) তিনি যুগান্তরকে বলেন, এটি কোনো পুলিশি ব্যবস্থা নয় যে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য আগাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেওয়া হবে। তবে অবশ্যই তদন্তের বিষয়বস্তু ও ফলাফল সবার জানার অধিকার আছে। এ জন্য তদন্ত শেষ হলে প্রাপ্ত তথ্য একযোগে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২৭ আগস্ট গুমের অভিযোগ তদন্তে একটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত গুমের ঘটনা ভিকটিম নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগ জানাতে পারবেন।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গুলশান এভিনিউ’র ৯৬ নম্বর বাড়িতে স্থাপিত গুম কমিশনের কার্যালয়ে গেলে দেখা যায়, একতলা পুরোনো বাড়ি সংস্কারের পর ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। বাড়ির সামনের ফাঁকা লনে লোহার স্ট্যান্ডে ঝুলছে জাতীয় পতাকা। এ সময় প্রধান ফটকের পাশেই অস্ত্র হাতে পোশাকধারী দু’পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ভেতরে ঢুকতে চাইলে তারা বাধা দেন। বলেন, কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়া ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। তবে কেউ অভিযোগ নিয়ে এলে তাকে কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাঁদের শনাক্ত করা, কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল, তা নির্ধারণ করা এবং সে উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। এ ছাড়া গুম হওয়ার ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। এ ক্ষেত্রে সুপারিশও করতে পারবে কমিশন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
সোমবার কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রে জানা যায়, সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা তিন জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে গুমের অভিযোগ দাখিল করেছেন। এতে অন্যতম অভিযুক্ত করা হয়েছে সাবেক একজন সেনাপ্রধানকে। এছাড়া অন্যদের মধ্যে আছেন আলোচিত সেনা কর্মকর্তা ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের সাবেক প্রধান লে. জে আকবর হোসেন।