Logo
Logo
×

জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা সত্যিকার সাংবাদিকতা করেছে: প্রেস সচিব

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম

জুলাই অভ্যুত্থানে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা সত্যিকার সাংবাদিকতা করেছে: প্রেস সচিব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সত্যিকারের সাংবাদিকের ভূমিকা পালন করেছে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাতিকে আন্দোলনের সঠিক চিত্র দেখিয়েছে।

বুধবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশের মানুষকে অনেক মিডিয়া জাতিকে সঠিক তথ্য জানাতে পারেনি। অনেক মিডিয়া ইট-পাথরের জন্য মায়া কান্না করেছে- সেই সময় মাল্টিমিডিয়ার সাংবাদিকরা সত্যিকারের সাংবাদিকতা করে জাতির কাছে আন্দোলনের সঠিক চিত্র তুলে ধরেছে। সেই সময় মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সঠিক তথ্য না দিলে শেখ হাসিনাকে হটানো সম্ভব হতো না। পরবর্তীতে ইন্টারনেট বন্ধ হলেও ওইসব ফুটেজগুলো মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টাররা রেখে দিয়েছেন। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের ওইসব ভিডিও থেকে যাচাই করে একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে।

মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো ওয়েজ বোর্ডের ভেতরে আনতে আন্দোলন করা উচিত মন্তব্য করে প্রেস সচিব বলেন, টিভি-পত্রিকাগুলোর আয়ের অধিকাংশ মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের মাধ্যমে আসে। কিন্তু প্রায় প্রতিটি হাউসে তাদের বেতন সবচেয়ে কম। নাম সর্বস্ব অনলাইনগুলো কর্মীদেরকে বেতন দেয় না। সারা দিন তারা অধিকাংশ নিউজ বা কনটেন্ট চুরি করে। বেতন দিতে না পারলে ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।

মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের বেতন কাঠামো ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্টদের আন্দোলন করে ন্যূনতম বেতন কাঠামোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফখরুল ইসলাম চারদফা দাবি তুলে ধরে বলেন,

১. কর্মক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের বৈষম্য নিরসনে বেতন কাঠামো ঠিক করতে হবে। আমাদের বেশিরভাগ রিপোর্টার প্রিন্ট পত্রিকা হাউসে কাজ করলেও তাদের ওয়েজ বোর্ড নেই। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

২. মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করার দাবি জানাচ্ছি।

৩. পেশাদারিত্ব কাজের সময় হামলার শিকার হলেও জাতীয় সাংবাদিকদের পেশাজীবী সংগঠনগুলো আমাদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ কম। তাই আমাদের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

৪. মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টাররা প্রেস ক্লাব ও ডিআরইউর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা অবসান ঘটিয়ে তাদের সদস্য করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টি সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক

আব্দুল হান্নান মাসুদ, সচিব জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সাদিক কাইয়ুম, দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক সাবরিনা বিনতে আহমেদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য প্লাবন তারেক প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম