পরিবার পরিকল্পনা সমিতির গোলটেবিলে বক্তারা
স্বাস্থ্য-লিঙ্গসমতা ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনার তাগিদ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে নারী ও পুরুষের স্বাস্থ্য এবং লিঙ্গসমতা ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনার তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেন, নারীদের প্রতি বৈষম্য এবং সহিংসতা মোকাবিলায় নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গসমতার ওপর জোর দেওয়ার সময় এসেছে।
বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে ‘বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এমন তাগিদ দেন।
এফপিএবি সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন এফপিএবি বগুড়া শাখার সভাপতি মো. আতিকুর রহমান, রেড টাইমস বিডির সম্পাদক কবি সৌমিত্র দেব, ফ্লাওয়ার বাংলাদেশের সভাপতি মাহমুদ খান বিজু, এফপিএবি ঢাকা শাখার তারার মেলা যুবসদস্য আবদুস সাত্তার ফাহিম, ফাহিম মোরশেদ, শ্রাবণী আকতার, নাদিয়া বিনতে পুষ্পিতা এবং সিনমিয়া ইসলাম।
এছাড়া এফপিএবি জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের বিভিন্ন সদস্য, শাখা সভাপতি, জেলা কর্মকর্তারা অনলাইনে আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন এফপিএবি জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের যুবসদস্য আসমা তানজিলা তিসা।
বৈঠকে তারার মেলা কার্যক্রম নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফপিএবির প্রোগ্রাম অফিসার (যুব) হোসনে জাহান লিজা।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৩ শতাংশ যুবসমাজ। যুব সদস্যদের নৈতিকতা শিক্ষাদানের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে এফপিএবি কাজ করছে। এ লক্ষ্যে এফপিএবি ১৯৮৬ সালে যুব কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘তারারমেলা’ নামে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরী ও যুবদের যুব নেতা, দায়িত্বশীল হিসেবে প্রস্তুতি এবং সমাজের জনগোষ্ঠী উন্নয়নের ওপর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। পাশাপাশি পারিবারিক জীবন শিক্ষা, প্রজনন স্বাস্থ্য করণীয় বিষয়ে জোর দিয়ে আসছে। এভাবে নীতিনির্ধারক এবং সম্প্রদায় অংশীদারিত হওয়ার গুণাবলি তৈরিতে ভূমিকা রেখে আসছে। এফপিএবি তারার মেলা প্লাটফর্ম এক অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে যুব সমাজ এগিয়ে যাবে এবং একটি অগ্রসর, টেকসই ভবিষ্যতে অবদান রাখবে।
বৈঠকে ছয়টি সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো- যুবদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা। নিজেদের অর্জিত জ্ঞানকে সব বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া। সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জানা এবং সমবয়সীদের জানানো। স্বাস্থ্য এবং লিঙ্গ সমতা সর্ম্পকে আলোচনায় সবাইকে উৎসাহিত করা। পরিবর্তনের পক্ষে সক্রিয় হওয়ার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্ষতিকারক রীতিনীতিকে বর্জন করা। বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিষয়ে সর্ম্পকে যথাযথভাবে জানা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে জানান।