পণ্যমূল্য বৃদ্ধি
ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

বাজারে ফের অস্বস্তিতে পড়েছে ভোক্তারা।ঈদের পর বাজারে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে ঢিল দেওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
পরিস্থিতি এমন-সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও পেঁয়াজ ও আলু কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকটি সবজি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার ওপরে। মাছের দামও কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া সরকারের নীতি সহায়তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় সয়াবিন তেল লিটারে ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ৫০ টাকা ছিল। আর মাসখানেক আগে সর্বনিম্ন কেজিপ্রতি ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও বুধবার সর্বনিম্ন বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা।
সেক্ষেত্রে মাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা। যা সাত দিন আগে ছিল ১২৫-১২৮ টাকা। কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা।
এদিকে সরকারের নীতি সহায়তার মেয়াদ শেষ হওয়ায়, লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা। যা এতদিন ছিল ১৭৫ টাকা। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা। আগে যা ৮৫২ টাকা ছিল।
পাশাপাশি প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ থেকে বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়েছে। খোলা পাম তেলও ১৫৭ থেকে বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা লিটার করা হয়েছে। অর্থাৎ খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা।
সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ভরা আমন মৌসুমেই বাড়ানো হয় চালের দাম। এখনো তা কমার কোনো লক্ষণ নেই। খুচরা বাজারে এক কেজি সরু চাল কিনতে ৮৫ টাকার বেশি খরচ করতে হচ্ছে। আর গরিবের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ন্যূনতম ৫৫ টাকায়। বিক্রেতারা মসলা পণ্যেও বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন। এছাড়া মাংসের দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। এতে ভোক্তারা বাজারে এসে এক প্রকার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়ে। চাহিদা মেটাতে সংকটে পড়ে। রোজা ও ঈদ ঘিরে বাজারে সংস্থাগুলো তদারকি জোরদার করায় ভোক্তারা স্বস্তিতে ছিল। তবে ঈদের পর তদারকিতে ঢিলেঢালা ভাব থাকায় বিক্রেতারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও নীরবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে, অসাধুদের আইনের আওতায় আনা। সঙ্গে রোজার মতো বাজারে তদারকি জোরদার রাখা।