দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, এবার দেশে বিগত দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে। বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে সক্ষমতা তৈরির ফলেই চামড়ার এই দর নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা মঙ্গলবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়া আড়ত নাটোরের চকবৈদ্যনাথে জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি সায়েদার খান এবং সাধারণ সম্পাদক হালিম উদ্দিন মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
সভায় নাটোরের পুলিশ সুপার মো. আমজাদ হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবুল হায়াত এবং নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখতার জাহান সাথী উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার এ বছর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেওয়ার পাশাপাশি মাদ্রাসা এবং এতিমখানাতে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করেছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্ত চামড়া লবণের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হলে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হবে। দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে বাজারে চামড়া বিক্রি করা হলে চামড়ার বেশি মূল্য পাওয়া যাবে। চামড়ার গুণগত মান নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত নীতিমালা সন্নিবেশিত করে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে খুতবাতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে এ বছর চামড়া কেনাবেচায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বিসিক কর্তৃক তিন ধরনের লবণের নমুনা ট্যানারি মালিকদের প্রদান করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সাড়ে সাত লাখ মণ লবণ কিনেছে সরকার। এসব লবণ চামড়া সংরক্ষণে মাদ্রাসা এবং এতিমখানাতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে মাদ্রাসা পর্যায়ে যেসব সমস্যা হয়েছে- তা পরবর্তীতে সংশোধনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমরা যেসব কাজ করছি সেই প্রচেষ্টার মধ্যে কোনো ঘাটতি নেই। সবার সহযোগিতায় চামড়া ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যে সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে, তাতে আগামী বছর আরও বেশি সুফল পাওয়া যাবে। আমরা শুধু আমদানির ক্ষেত্রেই নয় রপ্তানির ক্ষেত্রেও নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে চামড়ার বাজারকে বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে চাই।
পরে তিনি নাটোরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় সরকারি লবণের প্রণোদনাপ্রাপ্ত একটি মাদ্রাসার প্রাপ্ত চামড়া সংরক্ষণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।