‘এদের শেকড় অনেক গভীরে’: তিন সমন্বয়কের চাঁদাবাজি নিয়ে উমামা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির
অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ পাঁচজন আটকের ঘটনায় মুখ খুলেছেন সংগঠনটির
সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা।
শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আটকদের ছবিসহ এক পোস্টে তিনি
লিখেছেন, এই চাঁদাবাজির খবর দেখে আশেপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন, বিষয়টা কিছুটা
হাস্যকর বটে। বলতে হবে, এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল।
ঠিকমতো খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শেকড় অনেক গভীরে।
গত বছর জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে উমামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি সংগঠনের মুখপাত্র হন। গত মাসেই তিনি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত
৫ জনের চাঁদাবাজির খবর শুনে আমার পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এতটাই আশ্বর্যান্বিত হওয়ার অভিনয়
করছেন যে আমার মনে হচ্ছে আমিই সব থেকে কম আশ্চর্য হয়েছি। এই ছেলেগুলাকে তো নেতাদের
পেছনে প্রটোকল দিতে দেখা গেছে এতদিন যাবৎ। সচিবালয় থেকে শুরু করে মিছিল-মিটিং, মারামারি
সব জায়গাতেই সমন্বয়কদের ডান হাত, বাম হাত হিসেবে নির্বিঘ্নে প্রটোকল দিয়ে গেছে। গুলশান-বনানী
গ্যাং কালচারের অজস্র অভিযোগ অভ্যন্তরীণভাবে তাদের বিরুদ্ধে ছিল’।
উমামা পোস্টে আরও লেখেন, এই ছবির রিয়াদ নামের ছেলেটা গত ডিসেম্বর মাসে
রূপায়ণ টাওয়ারে আমার সামনে অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছিল। আমরা মেয়েরা তাকে থামানোর
চেষ্টা করলে আমাদের উপর পাল্টা চড়াও হয়। ওই ঘটনার পর ছেলেটার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে
পারি ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে হুমকি, মারামারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। আমি জেনে তখন
মোটেও অবাক হইনি, কারণ ততদিনে বৈষম্যবিরোধীতে এই ধরনের মানুষজনের আনাগোনা সর্বত্র টের
পাওয়া যেত। ঠিকই তারা রূপায়ণ টাওয়ারে অবাধে আসা যাওয়া করত। কারো দুর্নীতি বা অসততার
ব্যাপারে অভিযোগ জানালে উত্তরে পিনড্রপ সাইলেন্স উপহার পেতে হবে। আর আমি চোখের সামনে
দেখতাম এসব লোকজনই কীভাবে দিন শেষে এক্সেস করে নেয়। আজকে এত মাস পর এই প্ল্যাটফর্মের
দিকে তাকালে বলার ভাষা পাই না কোনো?! যে যেভাবে পারছে এই প্ল্যাটফর্মকে নষ্ট করেছে।
সাবেক এই সমন্বয়ক লিখেছেন, ‘ইশ! মানুষ কত নিষ্পাপ! সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর
মতো তারা আবিষ্কার করেছেন এই ছেলেগুলো আজ কীভাবে চাঁদাবাজি করল?! অত্যন্ত দুঃখিত বন্ধুরা,
বলতে হবে এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। ঠিকমতো খোঁজ
নিলে বুঝবেন, এদের শেকড় অনেক গভীরে।’
