৯০ ভরি স্বর্ণ লুট: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রেফতার
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৯ জানুয়ারি ২০২১, ২২:৪৬:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর কোতয়ালীতে ৯০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলার একজন সহকারী পরিচালকসহ পাঁচজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই সহকারী পরিচালকের নাম সাকিব হাসান। অন্য চারজন সিপাহী।
রোববার বিভিন্ন সময়ে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং পুলিশের মধ্যে টানাপোড়েন চলে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সাকিব হাসান ৩৪তম বিসিএসের (নন-ক্যাডার) কর্মকর্তা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে নিয়োগ পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি যশোরে। তিনি ঢাবির বঙ্গবন্ধু হলে থাকতেন এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় ২ জন সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্য ছাড়াও আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন। জবানবন্দিতে তাদের অনেকের নামও এসেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি বিপ্লব বিজয় তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। ২-৩ দিন পর তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ১১ জানুয়ারি কোতয়ালীতে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশের এলাকার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। ওই ফুটেজ দেখে একটি গাড়ি শনাক্ত করা হয়। ওই গাড়ির নম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাকিব হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই চারজন সিপাহীকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, সাকিব হাসান ১৭ জানুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বেসিক ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস কোর্সে অংশ নিতে ঢাকায় আসেন। সাকিব নবীন কর্মকর্তা হলেও দাপটের সঙ্গে চলতেন তিনি। এছাড়া তার সিপাহী আমিনুল ইসলামও কাউকে পাত্তা দিতেন না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
৯০ ভরি স্বর্ণ লুট: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রেফতার
রাজধানীর কোতয়ালীতে ৯০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলার একজন সহকারী পরিচালকসহ পাঁচজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই সহকারী পরিচালকের নাম সাকিব হাসান। অন্য চারজন সিপাহী।
রোববার বিভিন্ন সময়ে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং পুলিশের মধ্যে টানাপোড়েন চলে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সাকিব হাসান ৩৪তম বিসিএসের (নন-ক্যাডার) কর্মকর্তা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে নিয়োগ পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি যশোরে। তিনি ঢাবির বঙ্গবন্ধু হলে থাকতেন এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় ২ জন সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্য ছাড়াও আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন। জবানবন্দিতে তাদের অনেকের নামও এসেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি বিপ্লব বিজয় তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। ২-৩ দিন পর তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ১১ জানুয়ারি কোতয়ালীতে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশের এলাকার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। ওই ফুটেজ দেখে একটি গাড়ি শনাক্ত করা হয়। ওই গাড়ির নম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাকিব হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই চারজন সিপাহীকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, সাকিব হাসান ১৭ জানুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বেসিক ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস কোর্সে অংশ নিতে ঢাকায় আসেন। সাকিব নবীন কর্মকর্তা হলেও দাপটের সঙ্গে চলতেন তিনি। এছাড়া তার সিপাহী আমিনুল ইসলামও কাউকে পাত্তা দিতেন না।