আপন জুয়েলার্সের মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট
যুগান্তর প্রতিবেদন
০২ মার্চ ২০২১, ১৯:০২:০৫ | অনলাইন সংস্করণ
শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে।
রমনা থানায় দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং আইনের এই মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় এ চার্জশিট দেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
মঙ্গলবার আদালত সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।
আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এসব টাকা পাচার করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও পৌনে ৮ হাজার পিস ডায়মন্ড কিনতে গিয়ে আপন জুয়েলার্স ১৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করেছে। এতে ওই পরিমাণ অর্থ কর ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুনে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের সেই বহুল আলোচিত ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের নামটি সামনে চলে আসে। কারণ, প্রতিষ্ঠানের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের একমাত্র ছেলে সাফাত আহমেদ এ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান। ধর্ষণের এ মামলাটি টক অব কান্ট্রি হিসেবে অন্তত ৬ মাস ছিল সবার মুখে মুখে।
এ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও তখন ভাইরাল হয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়। টিভি টকশো ছিল অনেকদিন সরব। এরফলে বিষয়টি নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা এক ধরনের চাপের মুখে পড়ে। যে কারণে তখন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। শুল্ক গোয়েন্দার একের পর এক অভিযানে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুম থেকে প্রায় সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আপন জুয়েলার্সের মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট
শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে।
রমনা থানায় দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং আইনের এই মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় এ চার্জশিট দেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
মঙ্গলবার আদালত সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।
আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এসব টাকা পাচার করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও পৌনে ৮ হাজার পিস ডায়মন্ড কিনতে গিয়ে আপন জুয়েলার্স ১৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করেছে। এতে ওই পরিমাণ অর্থ কর ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুনে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের সেই বহুল আলোচিত ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের নামটি সামনে চলে আসে। কারণ, প্রতিষ্ঠানের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের একমাত্র ছেলে সাফাত আহমেদ এ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান। ধর্ষণের এ মামলাটি টক অব কান্ট্রি হিসেবে অন্তত ৬ মাস ছিল সবার মুখে মুখে।
এ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও তখন ভাইরাল হয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়। টিভি টকশো ছিল অনেকদিন সরব। এরফলে বিষয়টি নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা এক ধরনের চাপের মুখে পড়ে। যে কারণে তখন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। শুল্ক গোয়েন্দার একের পর এক অভিযানে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুম থেকে প্রায় সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।