দুবাই থেকে দেশে ফিরে মাদকের কারবার...
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:১৬:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
সোহেল রানা (৩০)। রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ২০১০ সালে এক মাদক কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তখন সোহেল রানা জানতে পারেন, মাদক কারবার করে অল্প সময়ে অধিক টাকা আয় করা যায়। এরপর পরিবারের চাপে চলে যান দুবাই। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর দেশে ফিরেন। এরপর আবার সেই মাদক কারবারির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়।
এরপর ২০১৭ সালে শুরু করেন মাদকের কারবার। গাড়ি চালানোর আড়ালে তিনি এ কাজ করতেন। বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিভিন্ন জেলায় নেওয়ার সময় মাদকের চালানও বহন করতেন সোহেল রানা।
গত পাঁচ বছরে এভাবেই ৬০টির বেশি মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কাপ্তানবাজার থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন সোহেল রানা। তার প্রাইভেটকার থেকে জব্দ করা হয় ৫৮১ বোতল ফেনসিডিল।
শুক্রবার র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, বৃহস্পতিবার মাদকের একটি চালান নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি হয় সোহেল রানার। তার কাজ হলো ফেনসিডিলের চালানটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছে দেবেন। চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেন সোহেল। এরপর ফেনসিডিলের চালানটি নিয়ে ফেরার পথে কাপ্তানবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
র্যাব কর্মকর্তা ফারজানা আরও জানান, এর আগেও ২০২১ সালে গাঁজার একটি চালানসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন সোহেল রানা। তখন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় তিন মাস জেল খাটেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পান। পুনরায় মাদক কারবার শুরু করেন। প্রতি চালানে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার বোতল ফেনসিডিল বহন করেন সোহেল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দুবাই থেকে দেশে ফিরে মাদকের কারবার...
সোহেল রানা (৩০)। রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ২০১০ সালে এক মাদক কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তখন সোহেল রানা জানতে পারেন, মাদক কারবার করে অল্প সময়ে অধিক টাকা আয় করা যায়। এরপর পরিবারের চাপে চলে যান দুবাই। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর দেশে ফিরেন। এরপর আবার সেই মাদক কারবারির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়।
এরপর ২০১৭ সালে শুরু করেন মাদকের কারবার। গাড়ি চালানোর আড়ালে তিনি এ কাজ করতেন। বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিভিন্ন জেলায় নেওয়ার সময় মাদকের চালানও বহন করতেন সোহেল রানা।
গত পাঁচ বছরে এভাবেই ৬০টির বেশি মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কাপ্তানবাজার থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন সোহেল রানা। তার প্রাইভেটকার থেকে জব্দ করা হয় ৫৮১ বোতল ফেনসিডিল।
শুক্রবার র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, বৃহস্পতিবার মাদকের একটি চালান নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি হয় সোহেল রানার। তার কাজ হলো ফেনসিডিলের চালানটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছে দেবেন। চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেন সোহেল। এরপর ফেনসিডিলের চালানটি নিয়ে ফেরার পথে কাপ্তানবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
র্যাব কর্মকর্তা ফারজানা আরও জানান, এর আগেও ২০২১ সালে গাঁজার একটি চালানসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন সোহেল রানা। তখন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় তিন মাস জেল খাটেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পান। পুনরায় মাদক কারবার শুরু করেন। প্রতি চালানে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার বোতল ফেনসিডিল বহন করেন সোহেল।