এটিইউর অভিযানে জঙ্গিসহ গ্রেফতার ২
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) এক পলাতক সদস্য এবং এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
শুক্রবার দুপুরে এটিইউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- জেএমবি সদস্য ইমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্লাহ (৪৫) ও প্রতারক মোহাম্মদ ইউসুফ (৩০)। বৃহস্পতিবার ফেনীর সার্কিট হাউজ এলাকা ও কুমিল্লার চান্দিনা এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এটিইউ জানায়, ২০০৭ সালের এমদাদ উল্লাহ তার ১২ সহযোগীসহ বরিশাল শহরে বোমার সরঞ্জাম নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন। এই মামলায় অন্য আসামিরা জামিনে আছেন। এমদাদ উল্লাহ সেই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। এরপর তিনি ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে ছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবে অবৈধভাবে থাকার কারণে জেল খাটেন তিনি। পরে দেশে ফিরে এসে আত্মগোপনে চলে যান এমদাদ উল্লাহ। দেশে ফিরে শিক্ষকতা ও ইমামতি করতেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
অপর আসামি ইউসুফের বিষয়ে এটিইউর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ইউসুফ ব্রিটিশ এক নাগরিকের নামে ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এভাবে তিনি অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। তিনি কাফরুলের এক নারীকে পার্সেল ও নগদ ৫০ হাজার পাউন্ড উপহারের প্রলোভন দেখিয়ে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় সেই নারী কাফরুল থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে এটিইউ। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এটিইউর অভিযানে জঙ্গিসহ গ্রেফতার ২
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) এক পলাতক সদস্য এবং এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
শুক্রবার দুপুরে এটিইউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- জেএমবি সদস্য ইমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্লাহ (৪৫) ও প্রতারক মোহাম্মদ ইউসুফ (৩০)। বৃহস্পতিবার ফেনীর সার্কিট হাউজ এলাকা ও কুমিল্লার চান্দিনা এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এটিইউ জানায়, ২০০৭ সালের এমদাদ উল্লাহ তার ১২ সহযোগীসহ বরিশাল শহরে বোমার সরঞ্জাম নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন। এই মামলায় অন্য আসামিরা জামিনে আছেন। এমদাদ উল্লাহ সেই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। এরপর তিনি ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে ছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবে অবৈধভাবে থাকার কারণে জেল খাটেন তিনি। পরে দেশে ফিরে এসে আত্মগোপনে চলে যান এমদাদ উল্লাহ। দেশে ফিরে শিক্ষকতা ও ইমামতি করতেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
অপর আসামি ইউসুফের বিষয়ে এটিইউর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ইউসুফ ব্রিটিশ এক নাগরিকের নামে ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এভাবে তিনি অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। তিনি কাফরুলের এক নারীকে পার্সেল ও নগদ ৫০ হাজার পাউন্ড উপহারের প্রলোভন দেখিয়ে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় সেই নারী কাফরুল থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে এটিইউ। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।