রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তুরস্কের সম্পৃক্ততা চায় বাংলাদেশ
শেখ হাসিনার সঙ্গে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বাসস
২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:১৬:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে তুরস্ককে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসগ্লু বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে তুরস্ককে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগের জন্যও তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের বিশাল আঞ্চলিক বাজার এবং অভ্যন্তরীণ বাজারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রে অবস্থানের কারণে এর বিশাল বাজার রয়েছে। তুরস্ক এখানে বিনিয়োগ করলে উভয় দেশই লাভবান হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে তুরস্কের আগ্রহের কথা জানিয়ে সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মূল্য দেয়। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য যা কিছু করার তার দেশ সেটা করবে।
জ্বালানি থেকে পর্যটন সব খাতেই তুরস্ক বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ মেরামত করে দেয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাস মার্চে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বাংলাদেশ সফর করতে পারেন বলে জানান সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তুর্কি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের অগ্রগতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে করোনা মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি।
সাক্ষাতকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও বাংলাদেশে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শেখ হাসিনার সঙ্গে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তুরস্কের সম্পৃক্ততা চায় বাংলাদেশ
জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে তুরস্ককে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসগ্লু বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে তুরস্ককে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগের জন্যও তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের বিশাল আঞ্চলিক বাজার এবং অভ্যন্তরীণ বাজারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রে অবস্থানের কারণে এর বিশাল বাজার রয়েছে। তুরস্ক এখানে বিনিয়োগ করলে উভয় দেশই লাভবান হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে তুরস্কের আগ্রহের কথা জানিয়ে সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মূল্য দেয়। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য যা কিছু করার তার দেশ সেটা করবে।
জ্বালানি থেকে পর্যটন সব খাতেই তুরস্ক বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ মেরামত করে দেয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাস মার্চে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বাংলাদেশ সফর করতে পারেন বলে জানান সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তুর্কি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের অগ্রগতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে করোনা মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি।
সাক্ষাতকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও বাংলাদেশে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।