রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই আমাদের মূল টার্গেট
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৪০:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোই মূল টার্গেট বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কীভাবে হবে তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত মন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে সংঘটিত অভ্যন্তরীণ দাঙ্গার কারণে ১৯৭৮ ও ৭৯ সালে, ১৯৯১ ও ৯২ সালে এবং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৩৫টি কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪০৬টি পরিবারের প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনী এবং এপিবিএনের দুটি ইউনিট কাজ করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশ, বিজিবি, আনসার এবং র্যাবও কাজ করছে। মাদকসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় পুলিশ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আর ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী টহল দেবে বলেও জানান তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই আমাদের মূল টার্গেট
বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোই মূল টার্গেট বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কীভাবে হবে তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত মন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে সংঘটিত অভ্যন্তরীণ দাঙ্গার কারণে ১৯৭৮ ও ৭৯ সালে, ১৯৯১ ও ৯২ সালে এবং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৩৫টি কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪০৬টি পরিবারের প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনী এবং এপিবিএনের দুটি ইউনিট কাজ করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশ, বিজিবি, আনসার এবং র্যাবও কাজ করছে। মাদকসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় পুলিশ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আর ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী টহল দেবে বলেও জানান তিনি।