১৪ কোটি ভ্যাকসিন রাখার সক্ষমতা স্বাস্থ্যখাতের রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৩৩:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, দেশে অন্তত ১৪-১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। কাজেই দেশে ৪-৫কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে সেগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগে কোন সমস্যা হবে না।
সভায় ভ্যাকসিন প্রদানে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের সরকারি হাসপাতালগুলি থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালে ৫-১০টি আইস ফ্রিজার আছে যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। প্রাথমিকভাবে সারা দেশে বর্তমানে ৭,৩৪৪টি টিম ভ্যাকসিন প্রদানে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিন প্রদানে কোন অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এদের পাশাপাশি, ভ্যাকসিন প্রদানে প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত একটি অ্যাপস আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৈরি প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।
একই সঙ্গে সরকারিভাবে টিকা প্রদান শুরু করার পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশের বড় বড় বেসরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলিও শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাকসিন প্রদান করতে পারবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
১৪ কোটি ভ্যাকসিন রাখার সক্ষমতা স্বাস্থ্যখাতের রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, দেশে অন্তত ১৪-১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। কাজেই দেশে ৪-৫কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে সেগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগে কোন সমস্যা হবে না।
সভায় ভ্যাকসিন প্রদানে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের সরকারি হাসপাতালগুলি থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালে ৫-১০টি আইস ফ্রিজার আছে যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। প্রাথমিকভাবে সারা দেশে বর্তমানে ৭,৩৪৪টি টিম ভ্যাকসিন প্রদানে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিন প্রদানে কোন অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এদের পাশাপাশি, ভ্যাকসিন প্রদানে প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত একটি অ্যাপস আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৈরি প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।
একই সঙ্গে সরকারিভাবে টিকা প্রদান শুরু করার পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশের বড় বড় বেসরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলিও শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাকসিন প্রদান করতে পারবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।