সব নাগরিককে পেনশন দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৭ জানুয়ারি ২০২১, ২২:০৭:১০ | অনলাইন সংস্করণ
দেশের সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এর মধ্যে বিভিন্ন পেশার মানুষও পেনশনের আওতাভুক্ত হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সার্বিকভাবে পেনশন ব্যবস্থা করা জটিল কিছু নয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য পেনশন স্কিমের কাজ চলছে। সাংবাদিকদের জন্য কী করা যায়, সেটিও ভেবে দেখা হবে।
বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে আলোচনাসভা, মরণোত্তর সম্মাননা ও সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কাজে ঝুঁকি শুধু নয়, ভয়ংকর ঝুঁকি রয়েছে। তাদের জন্য ঝুঁকি তহবিল কীভাবে করা যায়, সেটি ভেবে দেখা হবে। যে কল্যাণ তহবিল আছে, সেটি কীভাবে আরও প্রসারিত করা যায়, সেটি দেখা হবে। এক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো উচিত।
রজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাবের সভাপতি মিজান মালিক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ ও ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
বক্তব্য দেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদ মশিউর রহমান খান, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ও আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজহার মাহমুদ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গাফফার মাহমুদ, ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ এবং প্রয়াত সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা।
সাইফুল আলম বলেন, পিতামাতার কাঁধে সন্তানের লাশ পাহাড়ের চেয়ে ভারী। এখানে সন্তানের স্মরণসভায় এসেছেন একজন বৃদ্ধ মা, এসেছেন স্ত্রী ও সন্তানরা। এটা অনেক কষ্টের বিষয়। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা দিকপাল যেমন- মানিক মিয়া, জহুর হোসেনসহ অনেকে, তাদের কয়জনকে আমরা স্মরণ করি? প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের জন্য ৩ কোটি টাকার কল্যাণ তহবিল গঠন করেছেন। কিন্তু সেটি যথেষ্ট নয়। এর আওতার বাইরে অনেক সাংবাদিক রয়েছেন। সাংবাদিকদের জন্য পেনশন দেওয়া যায় কি না, সেটি ভেবে দেখতে হবে। যারা অসুস্থ হন, মারা যান, তাদের পরিবারের জন্য কিছু করা যায় কি না। রিপোর্টাররা পত্রিকার প্রাণ। শুধু রিপোর্টারদের জন্য একটি আলাদা কল্যাণ তহবিল গঠন করা যায় কি না, ভাবতে হবে।
সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবাদিকরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে তাদের ভূমিকা আছে। তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে সহাযোগিতার আশ্বাস দেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সব নাগরিককে পেনশন দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে
দেশের সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এর মধ্যে বিভিন্ন পেশার মানুষও পেনশনের আওতাভুক্ত হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সার্বিকভাবে পেনশন ব্যবস্থা করা জটিল কিছু নয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য পেনশন স্কিমের কাজ চলছে। সাংবাদিকদের জন্য কী করা যায়, সেটিও ভেবে দেখা হবে।
বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে আলোচনাসভা, মরণোত্তর সম্মাননা ও সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কাজে ঝুঁকি শুধু নয়, ভয়ংকর ঝুঁকি রয়েছে। তাদের জন্য ঝুঁকি তহবিল কীভাবে করা যায়, সেটি ভেবে দেখা হবে। যে কল্যাণ তহবিল আছে, সেটি কীভাবে আরও প্রসারিত করা যায়, সেটি দেখা হবে। এক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো উচিত।
রজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাবের সভাপতি মিজান মালিক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ ও ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
বক্তব্য দেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদ মশিউর রহমান খান, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ও আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজহার মাহমুদ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গাফফার মাহমুদ, ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ এবং প্রয়াত সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা।
সাইফুল আলম বলেন, পিতামাতার কাঁধে সন্তানের লাশ পাহাড়ের চেয়ে ভারী। এখানে সন্তানের স্মরণসভায় এসেছেন একজন বৃদ্ধ মা, এসেছেন স্ত্রী ও সন্তানরা। এটা অনেক কষ্টের বিষয়। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা দিকপাল যেমন- মানিক মিয়া, জহুর হোসেনসহ অনেকে, তাদের কয়জনকে আমরা স্মরণ করি? প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের জন্য ৩ কোটি টাকার কল্যাণ তহবিল গঠন করেছেন। কিন্তু সেটি যথেষ্ট নয়। এর আওতার বাইরে অনেক সাংবাদিক রয়েছেন। সাংবাদিকদের জন্য পেনশন দেওয়া যায় কি না, সেটি ভেবে দেখতে হবে। যারা অসুস্থ হন, মারা যান, তাদের পরিবারের জন্য কিছু করা যায় কি না। রিপোর্টাররা পত্রিকার প্রাণ। শুধু রিপোর্টারদের জন্য একটি আলাদা কল্যাণ তহবিল গঠন করা যায় কি না, ভাবতে হবে।
সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবাদিকরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে তাদের ভূমিকা আছে। তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে সহাযোগিতার আশ্বাস দেন।