যে যা পারেন, উৎপাদন করেন: প্রধানমন্ত্রী
jugantor
যে যা পারেন, উৎপাদন করেন: প্রধানমন্ত্রী

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

২১ জুন ২০২২, ১৯:৩৪:২৯  |  অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই আমরা অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারব। যদিও আজ বিশ্বব্যাপী যে সমস্যা একদিকে করোনাভাইরাস অতিমারি, তার পরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যারা ফলে সারা বিশ্বেই আজকে খাদ্যের অভাব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানার কার্যক্রমের উদ্বোধন, বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি বাড়ি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের কাছে হস্তান্তর এবং ১২টি পুলিশ হাসপাতাল আধুনিকায়নের কাজ, ৬টি নারী পুলিশ ব্যারাক ও অনলাইন জিডি ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি সবাকে আহ্বান করেছি- সারা বিশ্বে যখন অভাব দেখা দিচ্ছে, জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, এমনকি উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় একটি পরিবার কতটুকু ভোজ্যতেল কিনতে পারবে, সেগুলো মেপে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে অধিক পরিমাণে কিনতে দেওয়া হচ্ছে না। জার্মানির মতো জায়গায় এমন অবস্থা। আমেরিকার অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে প্রত্যেকটা খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে এখনো আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা হচ্ছে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখা। আমাদের উর্বর মাটি, ১ ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে। যে যা পারবেন, উৎপাদন করবেন।

এ সময় পুলিশ বাহিনীর কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উদ্যোগ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির নামে এখন যারা আমাদের বিরোধিতা করে। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস এবং তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে...আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে তারা মেরেছে, হত্যা করেছে গাইবান্ধা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের রাজনীতি জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা আর আগুন দেওয়া। রেলে-লঞ্চে-বাসে-কোথায় না আগুন দিয়েছে তারা। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে সেটাই নাকি তাদের আন্দোলন। যা জনগণ কখনোই সমর্থন করেনি। এই আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে অনেক পুলিশকে জীবন দিতে হয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। আমরা চাই আমাদের দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে।’

পুলিশের সাফল্য তুলে ধরে বাহিনীটির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক এবং অস্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস- এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার দিকে বিশেষভাবে আরও দৃষ্টি দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর এ দেশের দরিদ্র, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ, গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের দিকে কেউ তাকানোর প্রয়োজনই মনে করেনি। অবশ্য মনে করবে কীভাবে! যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তারা ক্ষমতা নেয় ভোগের জন্য। ক্ষমতাটা তাদের ভাগ্য গড়ার জন্য।’

‘যেহেতু সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী তারা ব্যস্ত থাকবে কীভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে। একটা পর একটা ১৯-২০টার মতো ক্যু হয়। সারা রাত কারফিউ থাকে। বাংলাদেশের মানুষের কোনো অধিকারই ছিল না। না স্বাধীনভাবে চলার অধিকার-না বাঁচার অধিকার।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আসার পর থেকে আমরা জাতির পিতার নেওয়া গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প আবার চালু করি, পাশাপাশি দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নিই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে যেয়ে বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়ায় পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

যে যা পারেন, উৎপাদন করেন: প্রধানমন্ত্রী

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২১ জুন ২০২২, ০৭:৩৪ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই আমরা অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারব। যদিও আজ বিশ্বব্যাপী যে সমস্যা একদিকে করোনাভাইরাস অতিমারি, তার পরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যারা ফলে সারা বিশ্বেই আজকে খাদ্যের অভাব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। 

মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানার কার্যক্রমের উদ্বোধন, বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি বাড়ি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের কাছে হস্তান্তর এবং ১২টি পুলিশ হাসপাতাল আধুনিকায়নের কাজ, ৬টি নারী পুলিশ ব্যারাক ও অনলাইন জিডি ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি সবাকে আহ্বান করেছি- সারা বিশ্বে যখন অভাব দেখা দিচ্ছে, জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, এমনকি উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় একটি পরিবার কতটুকু ভোজ্যতেল কিনতে পারবে, সেগুলো মেপে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে অধিক পরিমাণে কিনতে দেওয়া হচ্ছে না। জার্মানির মতো জায়গায় এমন অবস্থা। আমেরিকার অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে প্রত্যেকটা খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে এখনো আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা হচ্ছে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখা। আমাদের উর্বর মাটি, ১ ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে। যে যা পারবেন, উৎপাদন করবেন।

এ সময় পুলিশ বাহিনীর কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উদ্যোগ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির নামে এখন যারা আমাদের বিরোধিতা করে। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস এবং তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে...আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে তারা মেরেছে, হত্যা করেছে গাইবান্ধা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের রাজনীতি জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা আর আগুন দেওয়া। রেলে-লঞ্চে-বাসে-কোথায় না আগুন দিয়েছে তারা। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে সেটাই নাকি তাদের আন্দোলন। যা জনগণ কখনোই সমর্থন করেনি। এই আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে অনেক পুলিশকে জীবন দিতে হয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। আমরা চাই আমাদের দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে।’

পুলিশের সাফল্য তুলে ধরে বাহিনীটির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক এবং অস্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস- এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার দিকে বিশেষভাবে আরও দৃষ্টি দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর এ দেশের দরিদ্র, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ, গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের দিকে কেউ তাকানোর প্রয়োজনই মনে করেনি। অবশ্য মনে করবে কীভাবে! যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তারা ক্ষমতা নেয় ভোগের জন্য। ক্ষমতাটা তাদের ভাগ্য গড়ার জন্য।’

‘যেহেতু সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী তারা ব্যস্ত থাকবে কীভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে। একটা পর একটা ১৯-২০টার মতো ক্যু হয়। সারা রাত কারফিউ থাকে। বাংলাদেশের মানুষের কোনো অধিকারই ছিল না। না স্বাধীনভাবে চলার অধিকার-না বাঁচার অধিকার।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আসার পর থেকে আমরা জাতির পিতার নেওয়া গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প আবার চালু করি, পাশাপাশি দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নিই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে যেয়ে বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়ায় পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন