ইরফান সেলিম কারাগারে, দেহরক্ষী জাহিদের স্বীকারোক্তি
যুগান্তর রিপোর্ট
০৪ নভেম্বর ২০২০, ২০:২৯:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান আসামি ইরফান সেলিমের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। আর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামি জাহিদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
দুই দফায় রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ইরফানকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন এবং জাহিদের স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। আর আসামি ইরফানের পক্ষে আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইরফানের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের এ মামলায় এর আগে গত ১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের এবং এরও আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ইরফান সেলিম ও জাহিদকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলায় রিমান্ড শেষে ইরফান সেলিমের সহযোগী এবি সিদ্দিকী দিপু এবং হাজী সেলিমের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান খান কারাগারে আছেন।
গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটি হাজী মহসীনে কর্মরত লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, এবি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মো. মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২৬ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজারে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানকালে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেয়। আর অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। দুই মামলায় মোট দেড় বছরের সাজা দেয়া হয় তাকে। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওই অভিযানে অস্ত্র, ইয়াবা, বিদেশি মদ, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি করে মোট চারটি মামলা হয়। এসব মামলায়ও তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এছাড়া ইরফানকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইরফান সেলিম কারাগারে, দেহরক্ষী জাহিদের স্বীকারোক্তি
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান আসামি ইরফান সেলিমের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। আর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামি জাহিদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
দুই দফায় রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ইরফানকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন এবং জাহিদের স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। আর আসামি ইরফানের পক্ষে আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইরফানের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের এ মামলায় এর আগে গত ১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের এবং এরও আগে গত ২৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ইরফান সেলিম ও জাহিদকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলায় রিমান্ড শেষে ইরফান সেলিমের সহযোগী এবি সিদ্দিকী দিপু এবং হাজী সেলিমের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান খান কারাগারে আছেন।
গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটি হাজী মহসীনে কর্মরত লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, এবি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মো. মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২৬ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজারে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানকালে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেয়। আর অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। দুই মামলায় মোট দেড় বছরের সাজা দেয়া হয় তাকে। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওই অভিযানে অস্ত্র, ইয়াবা, বিদেশি মদ, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি করে মোট চারটি মামলা হয়। এসব মামলায়ও তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এছাড়া ইরফানকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।