মিতু হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট না দেয়ায় হাইকোর্টের অসন্তোষ
যুগান্তর রিপোর্ট
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৩৯:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত মামলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ২০১৬ সালের জুনে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাড়ে চার বছর হয়ে গেল আজও তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারেননি। কেন তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারছেন না।
মামলার এক আসামির জামিন শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এমন মন্তব্য করেন। পরে আদালত জামিন আবেদনটি আগামী দুই মাস স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রাখেন। এর মধ্যে মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
তিনি বলেন, মামলার কারাবন্দি আসামি মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমের জামিন আবেদন করলে গত ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা হাজির হয়ে আদালতকে বলেন- তিনি কিছুদিন আগে তদন্তভার পেয়েছেন। এরপর আদালত উল্লেখিত মন্তব্য করেন এবং আদেশ দেন। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শংকর প্রসাদ দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে গুলি করে মিতুকে হত্যা করা হয়। পরে খুনিরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতে এ দুইজনের দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের মূল ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে মুছার নাম উঠে আসে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট না দেয়ায় হাইকোর্টের অসন্তোষ
সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত মামলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ২০১৬ সালের জুনে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাড়ে চার বছর হয়ে গেল আজও তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারেননি। কেন তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারছেন না।
মামলার এক আসামির জামিন শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এমন মন্তব্য করেন। পরে আদালত জামিন আবেদনটি আগামী দুই মাস স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রাখেন। এর মধ্যে মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
তিনি বলেন, মামলার কারাবন্দি আসামি মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমের জামিন আবেদন করলে গত ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা হাজির হয়ে আদালতকে বলেন- তিনি কিছুদিন আগে তদন্তভার পেয়েছেন। এরপর আদালত উল্লেখিত মন্তব্য করেন এবং আদেশ দেন। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শংকর প্রসাদ দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে গুলি করে মিতুকে হত্যা করা হয়। পরে খুনিরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতে এ দুইজনের দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের মূল ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে মুছার নাম উঠে আসে।