পিপলস লিজিংয়ের ২৮০ জন ঋণ খেলাপিকে হাইকোর্টে তলব
যুগান্তর প্রতিবেদন
২১ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩১:২৮ | অনলাইন সংস্করণ
লিজিং কোম্পানির অর্থ লোপাটকারী বিদেশে পলাতক পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮০ জনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের প্রবেশনাল লিক্যুডেটর মো. আসাদুজ্জামান খানের দাখিল করা এ সংক্রান্ত তালিকা দেখে আদালত এই ২৮০ জনকে তলব করেছেন।
পরে আসাদুজ্জামান খানের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তলবের পাশাপাশি এই ২৮০ জন ঋণ খেলাপিকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুসহ সিন্ডিকেটের সহায়তায় কয়েকটি লিজিং কোম্পানি থেকে অন্তত ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরিয়ে পিকে হালদার দেশ থেকে সটকে পড়েন। এ অর্থের বড় একটি অংশ কানাডা, ভারত ও সিঙ্গাপুর পাচার করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা সরানো হয়। এছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে পিকে হালদার ও তার সিন্ডিকেট।
সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ নেই বললেই চলে। ফলে ঋণ পরিশোধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর এর প্রধান কারিগর পিকে হালদার।
২৫ অক্টোবর তার দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতারের জন্য হাইকোর্ট থেকে আদেশ জারির খবর পেয়ে তিনি পিছুটান দেন। এরপর ইন্টারপোলের সহায়তায় পিকে হালদারকে ধরে দেশে আনতে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত পিকে হালদারের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানার পর পিকে হালদারকে গ্রেফতার করতে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পিপলস লিজিংয়ের ২৮০ জন ঋণ খেলাপিকে হাইকোর্টে তলব
লিজিং কোম্পানির অর্থ লোপাটকারী বিদেশে পলাতক পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮০ জনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের প্রবেশনাল লিক্যুডেটর মো. আসাদুজ্জামান খানের দাখিল করা এ সংক্রান্ত তালিকা দেখে আদালত এই ২৮০ জনকে তলব করেছেন।
পরে আসাদুজ্জামান খানের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তলবের পাশাপাশি এই ২৮০ জন ঋণ খেলাপিকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুসহ সিন্ডিকেটের সহায়তায় কয়েকটি লিজিং কোম্পানি থেকে অন্তত ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরিয়ে পিকে হালদার দেশ থেকে সটকে পড়েন। এ অর্থের বড় একটি অংশ কানাডা, ভারত ও সিঙ্গাপুর পাচার করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা সরানো হয়। এছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে পিকে হালদার ও তার সিন্ডিকেট।
সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ নেই বললেই চলে। ফলে ঋণ পরিশোধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর এর প্রধান কারিগর পিকে হালদার।
২৫ অক্টোবর তার দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতারের জন্য হাইকোর্ট থেকে আদেশ জারির খবর পেয়ে তিনি পিছুটান দেন। এরপর ইন্টারপোলের সহায়তায় পিকে হালদারকে ধরে দেশে আনতে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত পিকে হালদারের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানার পর পিকে হালদারকে গ্রেফতার করতে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।