হাজী সেলিমপুত্র ইরফানের জামিন কেন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:০২:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
ধানমণ্ডিতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় এমপি হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না- রুলে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
বশির উল্লাহ জানান, আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল দিয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভোরে ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিন ধানমণ্ডি থানার ওসি মো. ইকরাম আলী মিয়া জানান, এই মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম (৩৭), তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ (৩০) অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব’।
এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমণ্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। মামলার পর র্যাব ইরফান সেলিমকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হাজী সেলিমপুত্র ইরফানের জামিন কেন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল
ধানমণ্ডিতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় এমপি হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না- রুলে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
বশির উল্লাহ জানান, আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল দিয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভোরে ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিন ধানমণ্ডি থানার ওসি মো. ইকরাম আলী মিয়া জানান, এই মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম (৩৭), তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ (৩০) অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব’।
এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমণ্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। মামলার পর র্যাব ইরফান সেলিমকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে।