‘এমন আদেশ দেব, পিকেসহ অর্থপাচারকারীরা শান্তিতে থাকতে পারবে না’
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৭ মে ২০২২, ২০:৩৪:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে ভারতে গ্রেফতার পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের শুনানি হবে ১২ জুন। শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে হাইকোর্ট বলেছেন, আমাদের বিভিন্ন আদেশের কারণেই পিকে হালদার আজ সারা বিশ্বে অন্যভাবে আলোচিত। অর্থপাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। আমরা এমন আদেশ দেব, পিকে হালদার ও অন্য অর্থপাচারকারীরা পৃথিবীর কোথাও শান্তিতে থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। পাশাপাশি ওই সময়ের মধ্যে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে আদালতকে জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
শনিবার ভারতে পিকে হালদারের গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে জানিয়ে তাকে ফেরানো প্রশ্নে ওই রুল শুনানির জন্য সোমবার আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবীকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে গিয়েও অর্থপাচারকারীরা শান্তি পাবে না। আমাদের আদেশের কারণেই আজ পিকে হালদার সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অর্থপাচারের অভিযোগে ভিন্নভাবে আলোচিত। এটা ভাবার সুযোগ নেই যে, অন্যদেশে গেলে আমরা তার বিরুদ্ধে আদেশ দিতে পারব না। শুধু অর্থপাচারকারীর অবস্থানটা চিহ্নিত করে দিলেই আমরা তার বিরুদ্ধে আদেশ দিতে পারি। অর্থপাচারকারী বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক। ইতোমধ্যে পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা করা হয়েছে।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কিংবা গ্রেফতারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘এমন আদেশ দেব, পিকেসহ অর্থপাচারকারীরা শান্তিতে থাকতে পারবে না’
বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে ভারতে গ্রেফতার পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের শুনানি হবে ১২ জুন। শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে হাইকোর্ট বলেছেন, আমাদের বিভিন্ন আদেশের কারণেই পিকে হালদার আজ সারা বিশ্বে অন্যভাবে আলোচিত। অর্থপাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। আমরা এমন আদেশ দেব, পিকে হালদার ও অন্য অর্থপাচারকারীরা পৃথিবীর কোথাও শান্তিতে থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। পাশাপাশি ওই সময়ের মধ্যে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে আদালতকে জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
শনিবার ভারতে পিকে হালদারের গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে জানিয়ে তাকে ফেরানো প্রশ্নে ওই রুল শুনানির জন্য সোমবার আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবীকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে গিয়েও অর্থপাচারকারীরা শান্তি পাবে না। আমাদের আদেশের কারণেই আজ পিকে হালদার সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অর্থপাচারের অভিযোগে ভিন্নভাবে আলোচিত। এটা ভাবার সুযোগ নেই যে, অন্যদেশে গেলে আমরা তার বিরুদ্ধে আদেশ দিতে পারব না। শুধু অর্থপাচারকারীর অবস্থানটা চিহ্নিত করে দিলেই আমরা তার বিরুদ্ধে আদেশ দিতে পারি। অর্থপাচারকারী বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক। ইতোমধ্যে পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা করা হয়েছে।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কিংবা গ্রেফতারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।