এনু-রুপনের ভাই সহিদুল আত্মসমর্পণ করে কারাগারে
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৭ মে ২০২২, ২০:৫৩:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থপাচার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনু ও রুপনের ভাই সহিদুল হক ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এনু ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার ও গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। আর তার ভাই রুপন ভূঁইয়া ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আসামিদের আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- এনু ও রুপনের ভাই মেরাজুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া ও সহিদুল হক ভূঁইয়া, তাদের সহযোগী পাভেল রহমান, জয় গোপাল সরকার, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে প্রথম তিনজন মামলার শুরু থেকে পলাতক। বাকিরা কারাগারে।
২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুই ভাই এনু ও রুপনের নাম আলোচনায় আসে। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব। এর ৬ দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি প্রায় পাঁচ কোটি টাকা, আট কেজি স্বর্ণ ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক সাতটি মামলা করা হয় এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এনু ও রুপন এবং তাদের সহযোগী সানিকে ৪০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় এক ডজন মামলা করা হয়। এরমধ্যে রাজধানীর ওয়ারী থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা এই মামলাটির রায়ই প্রথম ঘোষণা করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এনু-রুপনের ভাই সহিদুল আত্মসমর্পণ করে কারাগারে
অর্থপাচার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনু ও রুপনের ভাই সহিদুল হক ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এনু ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার ও গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। আর তার ভাই রুপন ভূঁইয়া ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আসামিদের আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- এনু ও রুপনের ভাই মেরাজুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া ও সহিদুল হক ভূঁইয়া, তাদের সহযোগী পাভেল রহমান, জয় গোপাল সরকার, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে প্রথম তিনজন মামলার শুরু থেকে পলাতক। বাকিরা কারাগারে।
২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুই ভাই এনু ও রুপনের নাম আলোচনায় আসে। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব। এর ৬ দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি প্রায় পাঁচ কোটি টাকা, আট কেজি স্বর্ণ ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক সাতটি মামলা করা হয় এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এনু ও রুপন এবং তাদের সহযোগী সানিকে ৪০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে সিআইডি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় এক ডজন মামলা করা হয়। এরমধ্যে রাজধানীর ওয়ারী থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা এই মামলাটির রায়ই প্রথম ঘোষণা করা হয়।