সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরু
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার আসলামের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন।
আগামী ১০ জুলাই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য করেন বিচারক।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, অভিযোগ গঠনের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।
এর আগে মামলাটি নিয়ে আসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিনও দেন উচ্চ আদালত। সেটি জানানো হলে জজ আদালতও এই মামলায় আসলামকে জামিন দেন। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারছেন না বিএনপির এই নেতা।
২০১৬ সালে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত। এরপরই তুমুল আলোচনায় আসেন বিএনপির এই নেতা। ওই বছরের ১৫ মে রাজধানীর খিলখেত এলাকা থেকে আসলামকে আটক করা হয়।
পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে একে একে আরও অনেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন।
তখন দুদকও তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার ঘোষণা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় সম্পদের হিসাব চেয়ে তাকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং তা না পেয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরু
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৮ জুন ২০২৩, ১৭:৩৬:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার আসলামের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন।
আগামী ১০ জুলাই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য করেন বিচারক।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, অভিযোগ গঠনের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।
এর আগে মামলাটি নিয়ে আসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিনও দেন উচ্চ আদালত। সেটি জানানো হলে জজ আদালতও এই মামলায় আসলামকে জামিন দেন। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারছেন না বিএনপির এই নেতা।
২০১৬ সালে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত। এরপরই তুমুল আলোচনায় আসেন বিএনপির এই নেতা। ওই বছরের ১৫ মে রাজধানীর খিলখেত এলাকা থেকে আসলামকে আটক করা হয়।
পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে একে একে আরও অনেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন।
তখন দুদকও তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার ঘোষণা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় সম্পদের হিসাব চেয়ে তাকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং তা না পেয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023