পাঁচ ‘মাতব্বরে’ রোহিঙ্গা সংকট ঝুলে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৪ অক্টোবর ২০২১, ২২:৫৭:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের পাঁচ সদস্যের জন্য রোহিঙ্গা সংকট ঝুলে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, তবুও আমরা প্রত্যাশা করছি এ সংকটের সমাধান হবে।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতিসংঘ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাবাসী।
ড. মোমেন বলেন, মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ যা যা করার করছে। তবে জাতিসংঘের শক্তিটা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচজন স্থায়ী সদস্য, তারা হলো ‘মাতব্বর’।এরা একজন যদি আপত্তি করে সেখানে জাতিসংঘ কিছুই করতে পারে না। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার কথা বলতে চাই। তার ফলে আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা, ফিলিস্তিনের সমস্যা ঝুলেই আছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে লাখে লাখে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ওই সময় আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল।বর্তমানে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। গত চার বছরে নতুন করে আরও দুই লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হওয়ায় তাদের সংখ্যা বেড়েছে এবং সংখ্যাটি ক্রমেই বড় হচ্ছে।অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গার ভারে জর্জরিত। অথচ রোহিঙ্গা সংকটের চার বছর পার হলেও তাদের প্রত্যাবাসনে নেই কোনো অগ্রগতি।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবস্থানজনিত সংকটটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে আলোচিত হয়েছে। জাতিসংঘেও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গারও প্রত্যাবাসন হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করছে।আমরা প্রত্যাশা করছি, এ সংকটের সমাধান হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ আমাদের অনেক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবুও জাতিসংঘের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। জাতিসংঘ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে। সেজন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে নিয়ে গর্বিত। বাংলাদেশও জাতিসংঘকে নিয়ে গর্বিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দনে কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকাবাসীর সভাপতি শুকুর সালেক প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পাঁচ ‘মাতব্বরে’ রোহিঙ্গা সংকট ঝুলে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের পাঁচ সদস্যের জন্য রোহিঙ্গা সংকট ঝুলে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, তবুও আমরা প্রত্যাশা করছি এ সংকটের সমাধান হবে।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতিসংঘ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাবাসী।
ড. মোমেন বলেন, মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ যা যা করার করছে। তবে জাতিসংঘের শক্তিটা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচজন স্থায়ী সদস্য, তারা হলো ‘মাতব্বর’।এরা একজন যদি আপত্তি করে সেখানে জাতিসংঘ কিছুই করতে পারে না। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার কথা বলতে চাই। তার ফলে আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা, ফিলিস্তিনের সমস্যা ঝুলেই আছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে লাখে লাখে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ওই সময় আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল।বর্তমানে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। গত চার বছরে নতুন করে আরও দুই লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হওয়ায় তাদের সংখ্যা বেড়েছে এবং সংখ্যাটি ক্রমেই বড় হচ্ছে।অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গার ভারে জর্জরিত। অথচ রোহিঙ্গা সংকটের চার বছর পার হলেও তাদের প্রত্যাবাসনে নেই কোনো অগ্রগতি।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবস্থানজনিত সংকটটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে আলোচিত হয়েছে। জাতিসংঘেও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গারও প্রত্যাবাসন হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করছে।আমরা প্রত্যাশা করছি, এ সংকটের সমাধান হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ আমাদের অনেক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবুও জাতিসংঘের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। জাতিসংঘ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে। সেজন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে নিয়ে গর্বিত। বাংলাদেশও জাতিসংঘকে নিয়ে গর্বিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দনে কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকাবাসীর সভাপতি শুকুর সালেক প্রমুখ।