আমেরিকাতে প্রতি বছর ১ লাখ মিসিং হয়, এর দায় কে নেবে?
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:০৫:২০ | অনলাইন সংস্করণ
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ছাড়া তারা বাংলাদেশে মিসিং কেস নিয়েও মন্তব্য করেছে। এর প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ‘আমেরিকাতে প্রতি বছর এক লাখ মিসিং হয়, এর দায় কে নেবে’- সেই প্রশ্ন তুলেছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদিপুর গ্রামের ৪টি স্কুল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা বলেছে যে গত ১০ বছরে ৬শ জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতি বছর এক লাখ মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয় পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। আর এসব তথ্য যাচাই-বাচাই না করে বড় বড় বিদেশি লোক না জেনে অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে, আমি তাদের আহ্বান করি। বলি আসেন- দেখেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, সত্যি ঘটনা উদঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
র্যাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) জানাব। হয়ত ঠিকমতো তাদের জানাতে পারিনি। কারণ অনেকে একতরফা তথ্য পেয়েছে। যারা ওদেরকে পছন্দ করে না। সব দেশেই ল এনফোর্সিং এজেন্সিতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিল এখন খুব কম হয়েছে। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেসে সেটির তদন্ত হয়।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন দুটি ক্ষেত্রে র্যাব অন্যায় করেছিল- সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেসে বিচার হয়েছে। ওদের শাস্তিও হয়। আর এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা। দে হ্যাব বিন ট্রেইনড বাই ইউএসএ (তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে)। ইউএসএ তাদের শিখিয়েছে তাদের রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট। কীভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারগেশন। এগুলো সবকিছু শিখিয়েছে আমেরিকা।
পরে একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী ভিজয় দারিয়ানানি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জেডআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসাইন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আমেরিকাতে প্রতি বছর ১ লাখ মিসিং হয়, এর দায় কে নেবে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ছাড়া তারা বাংলাদেশে মিসিং কেস নিয়েও মন্তব্য করেছে। এর প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ‘আমেরিকাতে প্রতি বছর এক লাখ মিসিং হয়, এর দায় কে নেবে’- সেই প্রশ্ন তুলেছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদিপুর গ্রামের ৪টি স্কুল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা বলেছে যে গত ১০ বছরে ৬শ জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতি বছর এক লাখ মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয় পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। আর এসব তথ্য যাচাই-বাচাই না করে বড় বড় বিদেশি লোক না জেনে অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে, আমি তাদের আহ্বান করি। বলি আসেন- দেখেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, সত্যি ঘটনা উদঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
র্যাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) জানাব। হয়ত ঠিকমতো তাদের জানাতে পারিনি। কারণ অনেকে একতরফা তথ্য পেয়েছে। যারা ওদেরকে পছন্দ করে না। সব দেশেই ল এনফোর্সিং এজেন্সিতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিল এখন খুব কম হয়েছে। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেসে সেটির তদন্ত হয়।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন দুটি ক্ষেত্রে র্যাব অন্যায় করেছিল- সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেসে বিচার হয়েছে। ওদের শাস্তিও হয়। আর এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা। দে হ্যাব বিন ট্রেইনড বাই ইউএসএ (তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে)। ইউএসএ তাদের শিখিয়েছে তাদের রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট। কীভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারগেশন। এগুলো সবকিছু শিখিয়েছে আমেরিকা।
পরে একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী ভিজয় দারিয়ানানি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জেডআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসাইন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।