শাবির উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে খোলা চিঠি
ঢাবি প্রতিনিধি
২৬ জানুয়ারি ২০২২, ২১:২৯:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে খোলা চিঠি দিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।’ বুধবার এই চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে সই করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ জন শিক্ষক। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- ক্যাম্পাসে পুলিশি হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা, আন্দোলনে অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করা এবং আন্দোলনকারীদের পরিবারের ওপর পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।
চিঠিতে বলা হয়, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি নিয়ে চলমান অহিংস আন্দোলনকে ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীর সহিংসতা দিয়ে দমনে ব্যর্থ হয়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একের পর এক নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে শুরু হওয়া ন্যায্য আন্দোলন এসব পদক্ষেপের কারণে এক দফা দাবির আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। নিজের কৃতকর্মে ন্যূনতম শিক্ষকসুলভ মনোভাবের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হওয়া উপাচার্য শাবিপ্রবির দায়িত্বে থাকার সব নৈতিক ও আইনি অধিকার হারিয়েছেন। তার আশু পদত্যাগ দাবি করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অনশনরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও খাবারের জোগান নানা কৌশলে বন্ধ করে প্রায় ১৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনরত ২৮ জন শিক্ষার্থীর জীবনকে প্রাণঘাতী পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শাবিপ্রবির পাঁচজন সাবেক শিক্ষার্থীকে আটক করে এখন আইনি হয়রানি ও নিপীড়নের আওতায় আনা হয়েছে যা বাংলাদেশের সংবিধানে নিশ্চিত মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও সহিংস রাজনৈতিক কৌশল। একইভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তাদের স্বজনদের হুমকি ও হয়রানি করা হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি এবং মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের ওপর মানসিক নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে চিঠিতে সই করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পারভীন জলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শাবির উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে খোলা চিঠি
দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে খোলা চিঠি দিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।’ বুধবার এই চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে সই করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ জন শিক্ষক। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- ক্যাম্পাসে পুলিশি হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা, আন্দোলনে অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করা এবং আন্দোলনকারীদের পরিবারের ওপর পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।
চিঠিতে বলা হয়, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি নিয়ে চলমান অহিংস আন্দোলনকে ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীর সহিংসতা দিয়ে দমনে ব্যর্থ হয়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একের পর এক নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে শুরু হওয়া ন্যায্য আন্দোলন এসব পদক্ষেপের কারণে এক দফা দাবির আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। নিজের কৃতকর্মে ন্যূনতম শিক্ষকসুলভ মনোভাবের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হওয়া উপাচার্য শাবিপ্রবির দায়িত্বে থাকার সব নৈতিক ও আইনি অধিকার হারিয়েছেন। তার আশু পদত্যাগ দাবি করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অনশনরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও খাবারের জোগান নানা কৌশলে বন্ধ করে প্রায় ১৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনরত ২৮ জন শিক্ষার্থীর জীবনকে প্রাণঘাতী পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শাবিপ্রবির পাঁচজন সাবেক শিক্ষার্থীকে আটক করে এখন আইনি হয়রানি ও নিপীড়নের আওতায় আনা হয়েছে যা বাংলাদেশের সংবিধানে নিশ্চিত মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও সহিংস রাজনৈতিক কৌশল। একইভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তাদের স্বজনদের হুমকি ও হয়রানি করা হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি এবং মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের ওপর মানসিক নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে চিঠিতে সই করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পারভীন জলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার প্রমুখ।