বেঙ্গালুরুতে বর্বর নির্যাতনের শিকার সেই তরুণীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর
যুগান্তর প্রতিবেদন
২১ মে ২০২২, ২২:৩৪:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
ভারতের বেঙ্গালুরুতে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ ও নির্যাতনের সেই আলোচিত ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের একটি দলের কাছে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে ভারত।
তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের একটি দল তাদের জিম্মায় বুঝে নিয়েছে ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে। এখন তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে দলটি। রোববার হাসপাতালে তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তাকে পাচার ও নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে গতকাল (শুক্রবার) ওই ঘটনায় ৯ বাংলাদেশিকে দোষী সাব্যস্ত করে শুক্রবার তাদের ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি আদালত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বেঙ্গালুরুর আদালত ওই ধর্ষণ মামলার রায়ে চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তানিয়া খানকে ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামাল নামে দুজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরও দুই নারী আসামিকে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। মামলায় এক অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়, তবে তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল এবং ৩ মাসে বিচার শেষ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসে ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে তার ওপর চালানো বর্বর যৌন নির্যাতনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিশ। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ওই ভিডিওর উৎস খুঁজতে গিয়ে আসাম পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতনে জড়িত ব্যক্তিরা বেঙ্গালুরুতে আছেন। তারপর সেই তথ্য কর্ণাটক পুলিশকে সরবরাহ করে তারা। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ভিডিওর সূত্র ধরে ছয়জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন সকালে তাদের নিয়ে ফের অভিযানে যায় পুলিশ। পালানোর চেষ্টার সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন- ঢাকার মগবাজারের তরুণ রিফাজুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক বাবু ও তার সহযোগী সাগর।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পাচারের শিকার এক বাংলাদেশি তরুণীকে বীভৎস কায়দায় নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ভিডিওটির সূত্র ধরে ছয়জনের ওই দলটিকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বেঙ্গালুরুতে বর্বর নির্যাতনের শিকার সেই তরুণীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর
ভারতের বেঙ্গালুরুতে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ ও নির্যাতনের সেই আলোচিত ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের একটি দলের কাছে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে ভারত।
তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের একটি দল তাদের জিম্মায় বুঝে নিয়েছে ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে। এখন তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে দলটি। রোববার হাসপাতালে তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তাকে পাচার ও নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে গতকাল (শুক্রবার) ওই ঘটনায় ৯ বাংলাদেশিকে দোষী সাব্যস্ত করে শুক্রবার তাদের ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি আদালত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বেঙ্গালুরুর আদালত ওই ধর্ষণ মামলার রায়ে চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তানিয়া খানকে ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামাল নামে দুজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরও দুই নারী আসামিকে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। মামলায় এক অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়, তবে তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল এবং ৩ মাসে বিচার শেষ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসে ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে তার ওপর চালানো বর্বর যৌন নির্যাতনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিশ। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ওই ভিডিওর উৎস খুঁজতে গিয়ে আসাম পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতনে জড়িত ব্যক্তিরা বেঙ্গালুরুতে আছেন। তারপর সেই তথ্য কর্ণাটক পুলিশকে সরবরাহ করে তারা। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ভিডিওর সূত্র ধরে ছয়জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন সকালে তাদের নিয়ে ফের অভিযানে যায় পুলিশ। পালানোর চেষ্টার সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন- ঢাকার মগবাজারের তরুণ রিফাজুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক বাবু ও তার সহযোগী সাগর।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পাচারের শিকার এক বাংলাদেশি তরুণীকে বীভৎস কায়দায় নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ভিডিওটির সূত্র ধরে ছয়জনের ওই দলটিকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।