কালকিনির ইউএনও-ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
যুগান্তর প্রতিবেদন
২২ মে ২০২২, ২১:৪৬:৪২ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউনও) মো. জাকির হেসেন ও কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ওই ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব আলমের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ইউনিয়ন পরিষদের নতুন তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৩ মে, মনোনয়নপত্র যাচাই ২৪ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ মে ও ভোট গ্রহণ ১৫ জুন।
রোববার নির্বাচন কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ১৭ মে পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিয়ামুল আকন নামে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে একদল লোক তাকে বাধা দেয়। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারের নজরে আনা হলে তিনি ওই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের উদ্যোগ নেন। এ কারণে দুষ্কৃতকারীরা রিটার্নিং অফিসারের ওপর আক্রমণ করে। বিষয়টি জানার পর নির্বাচন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করতে মাদারীপুরের ডিসি, এসপি ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউএনও এবং ওসিকে প্রত্যাহার করল ইসি।
ওই ঘটনায় ইউএনও ও ওসির সম্পৃক্ততা ছিল কি না জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনে ওই দুজন কর্মকর্তা সেখানে দায়িত্ব পালন করুক তা নির্বাচন কমিশন চায় না।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাদারীপুরের ডিসি, এসপি ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিবেদনে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য, দলিলাদি ও পর্যবেক্ষণ পর্যালোচনা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ৩২৭-এর ধারা (৪) ও স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি (৩) অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে সেখানে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ ও সরকারি দায়িত্বে অবহেলার দায়ে এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসনিক কারণে কালকিনি থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে সেখানে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়ন করার জন্যও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। একইসঙ্গে কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন যে পর্যায় হতে স্থগিত করা হয়েছিল যে পর্যায় হতে তফশিল ঘোষণা করেছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের তারিখ আগামী ১৫ জুন ঠিক রাখা হয়েছে। এ নির্বাচনে ইতঃপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের নতুন করে আর মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রয়োজন নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কালকিনির ইউএনও-ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউনও) মো. জাকির হেসেন ও কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ওই ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব আলমের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই ইউনিয়ন পরিষদের নতুন তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৩ মে, মনোনয়নপত্র যাচাই ২৪ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ মে ও ভোট গ্রহণ ১৫ জুন।
রোববার নির্বাচন কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ১৭ মে পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিয়ামুল আকন নামে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে একদল লোক তাকে বাধা দেয়। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারের নজরে আনা হলে তিনি ওই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের উদ্যোগ নেন। এ কারণে দুষ্কৃতকারীরা রিটার্নিং অফিসারের ওপর আক্রমণ করে। বিষয়টি জানার পর নির্বাচন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করতে মাদারীপুরের ডিসি, এসপি ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউএনও এবং ওসিকে প্রত্যাহার করল ইসি।
ওই ঘটনায় ইউএনও ও ওসির সম্পৃক্ততা ছিল কি না জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনে ওই দুজন কর্মকর্তা সেখানে দায়িত্ব পালন করুক তা নির্বাচন কমিশন চায় না।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাদারীপুরের ডিসি, এসপি ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিবেদনে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য, দলিলাদি ও পর্যবেক্ষণ পর্যালোচনা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ৩২৭-এর ধারা (৪) ও স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি (৩) অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে সেখানে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থ ও সরকারি দায়িত্বে অবহেলার দায়ে এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসনিক কারণে কালকিনি থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে সেখানে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়ন করার জন্যও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। একইসঙ্গে কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন যে পর্যায় হতে স্থগিত করা হয়েছিল যে পর্যায় হতে তফশিল ঘোষণা করেছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের তারিখ আগামী ১৫ জুন ঠিক রাখা হয়েছে। এ নির্বাচনে ইতঃপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের নতুন করে আর মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রয়োজন নেই।