এক দিনে আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত কমে ২২০
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৬ আগস্ট ২০২২, ১৯:৫৬:০০ | অনলাইন সংস্করণ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও দুইজন মারা গেছেন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ হাজার ৩০৪ জন।
এদিকে করোনায় দৈনিক শনাক্তও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৭ হাজার ১১৯ জন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৪০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৯৫৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ৫৪৫ জন। তাদের নিয়ে কোভিডমুক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৭।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুইজনের একজন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের একজন রাজশাহী বিভাগের এবং একজন খুলনা বিভাগের।তাদের প্রত্যেকেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এক দিনে আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত কমে ২২০
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও দুইজন মারা গেছেন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ হাজার ৩০৪ জন।
এদিকে করোনায় দৈনিক শনাক্তও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৭ হাজার ১১৯ জন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৪০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৯৫৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ৫৪৫ জন। তাদের নিয়ে কোভিডমুক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৭।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুইজনের একজন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের একজন রাজশাহী বিভাগের এবং একজন খুলনা বিভাগের।তাদের প্রত্যেকেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে।