ওভারটাইমেও পোশাক শ্রমিকদের মাসিক খরচ পূরণ হচ্ছে না: সানেম
যুগান্তর প্রতিবেদন
০১ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:২১:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
ওভারটাইম করেও সংসারের খরচ চালাতে পারছেন না পোশাক খাতের শ্রমিকরা। তাদের জীবনধারণের জন্য মাসিক যে টাকা প্রয়োজন, তা তারা বেতন এবং ওভারটাইম মিলেও জোগাতে পারছেন না। ফলে পরিবারের নানা চাহিদা থাকছে অপূর্ণ। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণায় উঠে এসেছে এমন চিত্র।
রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বিষয়টি জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফিন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) সহায়তায় গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরি নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এ গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসাবে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নির্ণয় করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ বাছাই করা পোশাক শ্রমিকের কাছ থেকে নিয়মিত তথ্য নেওয়া হয়ে থাকে।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রতি সপ্তাহে এসব শ্রমিকের ওপর জরিপ করা হয়। জরিপ এলাকা দেশের প্রধান পাঁচটি শিল্প এলাকা। এসব এলাকা হলো চট্টগ্রাম, ঢাকা সিটি, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার। জরিপের তিন-চতুর্থাংশ উত্তরদাতা হলেন নারী, যারা মোটামুটিভাবে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমশক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোটামুটি চারজন সদস্যের একটি পরিবার পরিচালনায় (নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়) ঢাকার জন্য ১৯ হাজার ২০০ থেকে ২২ হাজার ৯০০ টাকা, চট্টগ্রামের জন্য ২১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকা এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের জন্য ২২ হাজার ৯০০ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু কর্মীদের রিপোর্ট করা গড় উপার্জন ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত ছিল অনেক কম। তাদের গড় আয় ছিল প্রায় ৯ হাজার ৯৮৪ টাকা। এর মধ্যে নারীদের আয় ছিল ৯ হাজার ৬৬৯ টাকা এবং পুরুষদের ছিল ১০ হাজার ৯২৮ টাকা। যার ফলে মজুরি ব্যবধান থেকে যায় নারী শ্রমিকদের জন্য ৫১ থেকে ৬০ শতাংশ এবং পুরুষ কর্মীদের জন্য ৪৫ থেকে থেকে ৫৪ শতাংশ।
এতে বলা হয়, এলাকাভেদে বর্তমান মজুরি ও প্রয়োজনের মধ্যে ব্যাপক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এই ব্যবধান পূরণ করার জন্য কর্মীরা ক্রমবর্ধমান ওভারটাইম এবং অতিরিক্ত ঘণ্টার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু তারপরও সেটি অনেক ক্ষেত্রে পূরণ হচ্ছে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওভারটাইমেও পোশাক শ্রমিকদের মাসিক খরচ পূরণ হচ্ছে না: সানেম
ওভারটাইম করেও সংসারের খরচ চালাতে পারছেন না পোশাক খাতের শ্রমিকরা। তাদের জীবনধারণের জন্য মাসিক যে টাকা প্রয়োজন, তা তারা বেতন এবং ওভারটাইম মিলেও জোগাতে পারছেন না। ফলে পরিবারের নানা চাহিদা থাকছে অপূর্ণ। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণায় উঠে এসেছে এমন চিত্র।
রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বিষয়টি জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফিন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) সহায়তায় গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরি নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এ গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসাবে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নির্ণয় করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ বাছাই করা পোশাক শ্রমিকের কাছ থেকে নিয়মিত তথ্য নেওয়া হয়ে থাকে।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রতি সপ্তাহে এসব শ্রমিকের ওপর জরিপ করা হয়। জরিপ এলাকা দেশের প্রধান পাঁচটি শিল্প এলাকা। এসব এলাকা হলো চট্টগ্রাম, ঢাকা সিটি, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার। জরিপের তিন-চতুর্থাংশ উত্তরদাতা হলেন নারী, যারা মোটামুটিভাবে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমশক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোটামুটি চারজন সদস্যের একটি পরিবার পরিচালনায় (নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়) ঢাকার জন্য ১৯ হাজার ২০০ থেকে ২২ হাজার ৯০০ টাকা, চট্টগ্রামের জন্য ২১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকা এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের জন্য ২২ হাজার ৯০০ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু কর্মীদের রিপোর্ট করা গড় উপার্জন ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত ছিল অনেক কম। তাদের গড় আয় ছিল প্রায় ৯ হাজার ৯৮৪ টাকা। এর মধ্যে নারীদের আয় ছিল ৯ হাজার ৬৬৯ টাকা এবং পুরুষদের ছিল ১০ হাজার ৯২৮ টাকা। যার ফলে মজুরি ব্যবধান থেকে যায় নারী শ্রমিকদের জন্য ৫১ থেকে ৬০ শতাংশ এবং পুরুষ কর্মীদের জন্য ৪৫ থেকে থেকে ৫৪ শতাংশ।
এতে বলা হয়, এলাকাভেদে বর্তমান মজুরি ও প্রয়োজনের মধ্যে ব্যাপক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এই ব্যবধান পূরণ করার জন্য কর্মীরা ক্রমবর্ধমান ওভারটাইম এবং অতিরিক্ত ঘণ্টার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু তারপরও সেটি অনেক ক্ষেত্রে পূরণ হচ্ছে না।