সংসদে আ.লীগের এমপি রহমতুল্লাহর বিস্ফোরক মন্তব্য
jugantor
সংসদে আ.লীগের এমপি রহমতুল্লাহর বিস্ফোরক মন্তব্য

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:৪০:০৪  |  অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ।তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র (অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের) হওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল, বাতাস থেকে শুরু করে সব চোর। এ কারণে আমি যাইনি। পরে আমাকে মন্ত্রী হওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু আমি তাতেও রাজি হইনি।

রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রহমতুল্লাহ এসব কথা বলেন।

রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি কিন্তু ঢাকার এমপি। এখনকার মধ্যে মোস্ট সিনিয়র এমপি, এখানে মতিয়া আপা আছে, আমার চেয়ে মোস্ট সিনিয়র পাঁচ-ছয়জন আছে। আমার বয়স এখন ৭৫ চলতেছে। হ্যাঁ, ৭৬ চলতেছে। আমি আর ফিরোজ রশীদ (জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য) একসঙ্গে পড়তাম। আমার ছেলের বয়সই ৪৯। অনেকেই প্রশ্ন করে, আমি পাঁচবারের এমপি। মন্ত্রী হলাম না কেন?’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব (অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) মারা যাওয়ার পরে মেয়র অফার (প্রস্তাব) করেছিলেন। আমি আপারে বললাম, ওখানে যাব না। এখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং এখানের মধ্যে সব চোর। আমি যাব না।এরপর আমাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব কারণে আমি সেই সময়ও রাজি হইনি।’

নিজের ব্যবসার প্রসঙ্গ তুলে সরকারদলীয় এই এমপি বলেন, ‘আমি ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম ট্যাক্স বাহাদুর নির্বাচিত হয়েছি। আমার অনেক কোম্পানি আছে। খালি দুইটা নামই বলব। একটা হলো এপেক্স ট্যানারি। আপনারা এপেক্স ট্যানারিকে খুব ভালোভাবে চেনেন। আরেকটা হলো এফডি ফুটওয়্যার। এটা আমার ছেলে করছে। এটারও টার্নওভার (বার্ষিক লেনদেন) ৫০০ কোটি টাকার মতো। আমার ছেলে বাংলাদেশের বড় ওষুধ কারখানা করবে, জায়গাও কেনা হয়ে গেছে ৮০ বিঘা। আল্লাহর রহমতে ব্যাংকে কোনো দেনা নাই। আমাদের কী সম্পত্তি আছে, এটা ওপেনলি (প্রকাশ্যে) বলব না। এটা শুধু মতিয়া আপা এবং প্রধানমন্ত্রীকেই বলব।’

এ সময় বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করেন তিনি। রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি আহলে হাদিসের প্রধান উপদেষ্টা। সারা দেশে এর প্রায় আড়াই কোটি ভোটার আছেন। আমার চামড়ার সাপ্লাইয়ার ও তাদের পরিবার মিলিয়ে আছেন প্রায় এক কোটির মতো। ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলা দূরের কথা, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের একটা সিটও নিতে পারবে না।’

সংসদে আ.লীগের এমপি রহমতুল্লাহর বিস্ফোরক মন্তব্য

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪০ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ।তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র (অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের) হওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল, বাতাস থেকে শুরু করে সব চোর। এ কারণে আমি যাইনি। পরে আমাকে মন্ত্রী হওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু আমি তাতেও রাজি হইনি।

রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রহমতুল্লাহ এসব কথা বলেন।

রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি কিন্তু ঢাকার এমপি। এখনকার মধ্যে মোস্ট সিনিয়র এমপি, এখানে মতিয়া আপা আছে, আমার চেয়ে মোস্ট সিনিয়র পাঁচ-ছয়জন আছে। আমার বয়স এখন ৭৫ চলতেছে। হ্যাঁ, ৭৬ চলতেছে। আমি আর ফিরোজ রশীদ (জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য) একসঙ্গে পড়তাম। আমার ছেলের বয়সই ৪৯। অনেকেই প্রশ্ন করে, আমি পাঁচবারের এমপি। মন্ত্রী হলাম না কেন?’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব (অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) মারা যাওয়ার পরে মেয়র অফার (প্রস্তাব) করেছিলেন। আমি আপারে বললাম, ওখানে যাব না। এখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং এখানের মধ্যে সব চোর। আমি যাব না।এরপর আমাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব কারণে আমি সেই সময়ও রাজি হইনি।’

নিজের ব্যবসার প্রসঙ্গ তুলে সরকারদলীয় এই এমপি বলেন, ‘আমি ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম ট্যাক্স বাহাদুর নির্বাচিত হয়েছি। আমার অনেক কোম্পানি আছে। খালি দুইটা নামই বলব। একটা হলো এপেক্স ট্যানারি। আপনারা এপেক্স ট্যানারিকে খুব ভালোভাবে চেনেন। আরেকটা হলো এফডি ফুটওয়্যার। এটা আমার ছেলে করছে। এটারও টার্নওভার (বার্ষিক লেনদেন) ৫০০ কোটি টাকার মতো। আমার ছেলে বাংলাদেশের বড় ওষুধ কারখানা করবে, জায়গাও কেনা হয়ে গেছে ৮০ বিঘা। আল্লাহর রহমতে ব্যাংকে কোনো দেনা নাই। আমাদের কী সম্পত্তি আছে, এটা ওপেনলি (প্রকাশ্যে) বলব না। এটা শুধু মতিয়া আপা এবং প্রধানমন্ত্রীকেই বলব।’

এ সময় বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করেন তিনি। রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমি আহলে হাদিসের প্রধান উপদেষ্টা। সারা দেশে এর প্রায় আড়াই কোটি ভোটার আছেন। আমার চামড়ার সাপ্লাইয়ার ও তাদের পরিবার মিলিয়ে আছেন প্রায় এক কোটির মতো। ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলা দূরের কথা, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের একটা সিটও নিতে পারবে না।’

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন