সংসদীয় আসন: বিতর্ক এড়াতে যে সিদ্ধান্ত নিল ইসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৭:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের বিদ্যমান সীমানা বহাল রেখেই এটিকে খসড়া হিসেবে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সপ্তাহে এ খসড়া প্রকাশ করা হবে। ওই খসড়ার ওপর দাবি আপত্তি জমা হলে সেগুলো নিষ্পত্তির ভিত্তিতে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের ১৪তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম ইসির এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নীতিমালা বা বিধিমালা করার কথা ছিল। তবে বিতর্কের আশংকায় তা থেকে সরে আসে কমিশন।
এদিকে বৈঠক সূত্র জানায়, জনশুমারির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি নিজ থেকে সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করবে না। সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত হওয়ার আগে এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা ও বিধিমালাও প্রণয়ন করবে না। বিগত কেএম নূরুল হুদা কমিশন যে প্রক্রিয়ায় সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করেছিল সেই প্রক্রিয়ায় এগুবে। যদিও ওই সময়ে সীমানা পরিবর্তন নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছিল।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সীমানা যা ছিল, তা নিয়ে খসড়া প্রকাশ করা হবে চলতি মাসে। বিজ্ঞপ্তিতে দাবি আপত্তির জন্য একটা সময় নির্ধারণ করা হবে। যেসব দাবি আপত্তি আসবে, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে দাবি-আপত্তি দিয়েছেন জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ২০-২৫টি আবেদন এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে সমস্ত আবেদন পড়বে, সেগুলো নিয়ে শুনানি করে বিধি বিধানের আলোকে চূড়ান্ত আসন সীমানা ঘোষণা করা হবে।
আগামী নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসন সীমানায় কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে আবেদনগুলো আসবে, সেই আপত্তি এবং ইতোমধ্যে যে আবেদনগুলো পড়েছে, সেগুলো শুনানি করে আমরা বলতে পারব, আসলে কয়টায় কী হয়েছে।
খসড়া কবে প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দ্রুতই প্রকাশ করা হবে। এটা আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই করে দেব। বাস্তবতা এবং আইনের বিষয়টাও তাই। আগে তো মানুষকে জানাতে হবে। তারপর তাদের কোনো আপত্তি থাকলে তার ওপর শুনানি হবে।
সীমানা পুননির্ধারণ আইন অনুযায়ী, ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রেখে সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনের জনসংখ্যার যতদূর সম্ভব ‘বাস্তব বণ্টনের’ ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, যে আইন আছে, প্রথম হচ্ছে ভৌগলিক অখণ্ডতা, তারপর আঞ্চলিক অবিভাজ্যতা, তারপর প্রশাসনিক এলাকা, চতুর্থত জনসংখ্যার ঘনত্ব। এ সবগুলোর বিবেচনায় নিয়ে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে সীমানা সংশোধন হবে। না হলে হবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সংসদীয় আসন: বিতর্ক এড়াতে যে সিদ্ধান্ত নিল ইসি
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের বিদ্যমান সীমানা বহাল রেখেই এটিকে খসড়া হিসেবে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সপ্তাহে এ খসড়া প্রকাশ করা হবে। ওই খসড়ার ওপর দাবি আপত্তি জমা হলে সেগুলো নিষ্পত্তির ভিত্তিতে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের ১৪তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম ইসির এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নীতিমালা বা বিধিমালা করার কথা ছিল। তবে বিতর্কের আশংকায় তা থেকে সরে আসে কমিশন।
এদিকে বৈঠক সূত্র জানায়, জনশুমারির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি নিজ থেকে সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করবে না। সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত হওয়ার আগে এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা ও বিধিমালাও প্রণয়ন করবে না। বিগত কেএম নূরুল হুদা কমিশন যে প্রক্রিয়ায় সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করেছিল সেই প্রক্রিয়ায় এগুবে। যদিও ওই সময়ে সীমানা পরিবর্তন নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছিল।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সীমানা যা ছিল, তা নিয়ে খসড়া প্রকাশ করা হবে চলতি মাসে। বিজ্ঞপ্তিতে দাবি আপত্তির জন্য একটা সময় নির্ধারণ করা হবে। যেসব দাবি আপত্তি আসবে, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে দাবি-আপত্তি দিয়েছেন জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ২০-২৫টি আবেদন এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে সমস্ত আবেদন পড়বে, সেগুলো নিয়ে শুনানি করে বিধি বিধানের আলোকে চূড়ান্ত আসন সীমানা ঘোষণা করা হবে।
আগামী নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসন সীমানায় কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে আবেদনগুলো আসবে, সেই আপত্তি এবং ইতোমধ্যে যে আবেদনগুলো পড়েছে, সেগুলো শুনানি করে আমরা বলতে পারব, আসলে কয়টায় কী হয়েছে।
খসড়া কবে প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দ্রুতই প্রকাশ করা হবে। এটা আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই করে দেব। বাস্তবতা এবং আইনের বিষয়টাও তাই। আগে তো মানুষকে জানাতে হবে। তারপর তাদের কোনো আপত্তি থাকলে তার ওপর শুনানি হবে।
সীমানা পুননির্ধারণ আইন অনুযায়ী, ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রেখে সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনের জনসংখ্যার যতদূর সম্ভব ‘বাস্তব বণ্টনের’ ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, যে আইন আছে, প্রথম হচ্ছে ভৌগলিক অখণ্ডতা, তারপর আঞ্চলিক অবিভাজ্যতা, তারপর প্রশাসনিক এলাকা, চতুর্থত জনসংখ্যার ঘনত্ব। এ সবগুলোর বিবেচনায় নিয়ে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে সীমানা সংশোধন হবে। না হলে হবে না।