হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা মারাত্মক অপরাধ: মানবাধিকার কমিশন
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৮ মার্চ ২০২৩, ১৭:১৩:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
গেল সোমবার এক বিবৃতিতে কমিশন এই প্রতিবেদন চাওয়ার তথ্য জানায়।
এভাবে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনামারাত্মক অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে কমিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহাম্মদ কর্তৃক র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নারী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান’ সংক্রান্ত প্রকাশিত বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অনভিপ্রেত। তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না এবং কিভাবে মৃত ব্যক্তির মাথায় আঘাত লেগেছে, তা তার জানার কথাও নয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত ব্যক্তির পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক মর্মে প্রতীয়মান হয়, যা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে।’
এতে আরও বলা হয়, হেফাজতে মৃত্যুসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি র্যাব বাদে পুলিশের অন্য কোনো ইউনিটের মাধ্যমে তদন্ত করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে নওগাঁ শহর থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা তার মৃত্যু হয়।
র্যাব বলছে, সুলতানা জেসমিন আটকের পর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তবে সুলতানা জেসমিনের স্বজনদের অভিযোগ, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
৪৫ বছর বয়সি সুলতানা জেসমিন নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা মারাত্মক অপরাধ: মানবাধিকার কমিশন
নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
গেল সোমবার এক বিবৃতিতে কমিশন এই প্রতিবেদন চাওয়ার তথ্য জানায়।
এভাবে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা মারাত্মক অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে কমিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহাম্মদ কর্তৃক র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নারী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান’ সংক্রান্ত প্রকাশিত বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অনভিপ্রেত। তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না এবং কিভাবে মৃত ব্যক্তির মাথায় আঘাত লেগেছে, তা তার জানার কথাও নয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত ব্যক্তির পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক মর্মে প্রতীয়মান হয়, যা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে।’
এতে আরও বলা হয়, হেফাজতে মৃত্যুসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি র্যাব বাদে পুলিশের অন্য কোনো ইউনিটের মাধ্যমে তদন্ত করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে নওগাঁ শহর থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা তার মৃত্যু হয়।
র্যাব বলছে, সুলতানা জেসমিন আটকের পর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তবে সুলতানা জেসমিনের স্বজনদের অভিযোগ, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
৪৫ বছর বয়সি সুলতানা জেসমিন নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।