জমি সংক্রান্ত জটিলতায় থমকে আছে ‘প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নির্মাণ
সংসদ প্রতিবেদক
২৮ মার্চ ২০২৩, ২২:৩৭:১১ | অনলাইন সংস্করণ
‘প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নির্মাণ জমি সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে। সাত বছরেও জায়গা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নামে বিশেষায়িত আধুনিক জাদুঘর প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল জাতীয় জাদুঘরের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নির্মাণের ঘোষণা দেন। পরে তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পাশে প্রায় চার একর জমিও বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানান।
বৈঠকে জানানো হয়, জমি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পেয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাদুঘর প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক জাদুঘর নির্মাণে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৫৫০ কোটি ১৬ লাখ ৪২ হাজার টাকার প্রাথমিক ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পের ওপর মূল্যায়ন কমিটির সভাও হয়। কিন্তু সব কিছু আটকে যায় জমি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তায়। প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের জন্য সেগুনবাগিচার নির্ধারিত জমির একটি অংশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগের ও বাকি অংশ সরকারের একটি সংস্থার দখলে থাকায় এ নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। গণপূর্তের দখলে থাকা ১ দশমিক ৩১ একর জমি দখলে পাওয়ার বিষয়ে কিছুটা আশাবাদী হলেও সংস্থার দখলে থাকা ২ দশমিক ৫৬১৬ একর জমির বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পূর্বাচল নতুন শহরে ৫ একর জমি বরাদ্দ চেয়ে রাজউকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে রাজউক এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দেওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জমি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় চূড়ান্ত ডিপিপি প্রণয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বৈঠকে জানানো হয়, গণপূর্তের ১.৩১ একর জায়গার ওপর প্রথম পর্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বাকি জমি প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের চিন্তাও করা হয়। এজন্য ২০২১ সালের মে মাসে ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক জাদুঘর নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তসহ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে এই বিষয়ে নতুন করে তাগাদাপত্রও দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে জমির দখল বুঝে পাওয়াসহ প্রকল্প গ্রহণের কোনো অগ্রগতি নেই। এ অবস্থায় কমিটি কক্সবাজারে প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর নির্মাণের সুপারিশ করে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেনের (রিমি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মমতাজ বেগম, আসাদুজ্জামান নূর, সুবর্ণা মুস্তাফা এবং শেরীফা কাদের অংশ নেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জমি সংক্রান্ত জটিলতায় থমকে আছে ‘প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নির্মাণ
‘প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নির্মাণ জমি সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে। সাত বছরেও জায়গা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নামে বিশেষায়িত আধুনিক জাদুঘর প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল জাতীয় জাদুঘরের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নির্মাণের ঘোষণা দেন। পরে তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পাশে প্রায় চার একর জমিও বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানান।
বৈঠকে জানানো হয়, জমি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পেয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাদুঘর প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক জাদুঘর নির্মাণে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৫৫০ কোটি ১৬ লাখ ৪২ হাজার টাকার প্রাথমিক ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পের ওপর মূল্যায়ন কমিটির সভাও হয়। কিন্তু সব কিছু আটকে যায় জমি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তায়। প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের জন্য সেগুনবাগিচার নির্ধারিত জমির একটি অংশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগের ও বাকি অংশ সরকারের একটি সংস্থার দখলে থাকায় এ নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। গণপূর্তের দখলে থাকা ১ দশমিক ৩১ একর জমি দখলে পাওয়ার বিষয়ে কিছুটা আশাবাদী হলেও সংস্থার দখলে থাকা ২ দশমিক ৫৬১৬ একর জমির বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পূর্বাচল নতুন শহরে ৫ একর জমি বরাদ্দ চেয়ে রাজউকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে রাজউক এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দেওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জমি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় চূড়ান্ত ডিপিপি প্রণয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বৈঠকে জানানো হয়, গণপূর্তের ১.৩১ একর জায়গার ওপর প্রথম পর্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বাকি জমি প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের চিন্তাও করা হয়। এজন্য ২০২১ সালের মে মাসে ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক জাদুঘর নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তসহ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে এই বিষয়ে নতুন করে তাগাদাপত্রও দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে জমির দখল বুঝে পাওয়াসহ প্রকল্প গ্রহণের কোনো অগ্রগতি নেই। এ অবস্থায় কমিটি কক্সবাজারে প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর নির্মাণের সুপারিশ করে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেনের (রিমি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মমতাজ বেগম, আসাদুজ্জামান নূর, সুবর্ণা মুস্তাফা এবং শেরীফা কাদের অংশ নেন।