অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, জিয়াউর রহমানের আমলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নামে যে বিধান মার্শাল ল’ ফরমান দ্বারা সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়েছিল, সেটাকে বাতিল করে ১৯৭২ সালের মূল যে অনুচ্ছেদ তাতে আমরা ফিরে যেতে চাই।
তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে যেকোনো রায়ের বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হলে বাদী বা বিবাদী পক্ষ রিভিউ আবেদন করতে পারবে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। আমরা সেই অধিকারটাই প্রয়োগ করেছি। বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতেই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়।
সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর ঢাকা সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে ঢাকা উৎসবের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চ্যাটার্জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটা সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, আমরা সংবিধানের মূল প্রভিশনে ফিরে যাব সেটার সামনে বিচার বিভাগ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তাদের (বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের) সমস্যাটা হল সাইকোলজিক্যাল বা মনোস্তাত্ত্বিক। যেহেতু জিয়াউর রহমানের তৈরি করা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাতিল করে আমরা বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ফিরে যেতে চাই, এটাই হল তাদের মানসিক সমস্যা।
সুপ্রিমকোর্ট বারের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে রাষ্ট্রের এ প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, এটা সম্পূর্র্ণ অন্যায়, সংবিধানের বিষয়ে আদালত একটা রায় দিয়েছেন, সেই রায় আমরা পুনর্বিবেচনার আবেদন করব, এটা আদালতের বিষয়। তারা এটাকে নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট বারের নাম ব্যবহার করে যে সংবাদ সম্মেলন করছে এটা অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পর পর দু’বার ডাকযোগে হত্যার হুমকি পাওয়ার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এসব হুমকিতে আমি ভয় পাই না। সব সময় সত্যের পথে ছিলাম এবং থাকব। যারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারাই এসব হুমকি দিতে পারে। হুমকি দিয়ে আমাকে থামিয়ে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।