জয়িতা, তোমার শুদ্ধস্বরে শোনাও কবিতা ফাগুনের গান
অন্তরজ্বলা কিছুটা জুড়াক, আত্মা পাক কিছু পরিত্রাণ
নিয়ম পালন বাধ্য করো না এই আরাধ্য নগর চিলেকোঠায়
কতবার বলো কতবার কবিতা ভুলে এই যন্ত্র সভ্যতায়
কাটাব একাকীকাল সব লিখনী লিখে রেখে দাসত্বের ঘরে
জয়িতা, এই জগৎসংসারে সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে
আমায় মোহবিষ্ট করো অভিসারে আকণ্ঠ সুর তাল লয়ে
বিনিদ্রার নিষ্ফলা রজনীতে নিদ্রিত কর পালঙ্ক কুশনে
সুখনিদ্রা দিও, ভালোবাসা নিও পরমাত্মার সব প্রয়োজনে
ভালোবেসে অঙ্কুরিত করো আগামীর সবুজ পত্রপল্লব
জয়িতা, আড়ম্বরহীন কবিতা আসর প্রহরের মুখোমুখি
রেখ না উদভ্রান্ত করে পঙ্ক্তিমালা, শব্দ ছন্দ সমগ্র
এসো আসর পেতে বসো অন্তরীক্ষের তেজদীপ্ত আহ্বানে
দুজনে সাজিয়ে দেই, নিশিক্লান্ত ফুলের বন যৌবনা নদী
কালের পৃষ্ঠায় লিখে সময়ের দাগ খতিয়ান বৃত্ত পরিধি