দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
২০১৪-১৫ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ
যুগান্তর রিপোর্ট
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা বর্তমান আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। এর আগে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাক্কলনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, গত অর্থবছরে জিডিপির যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। এর আগে দেশের ইতিহাসে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
বিবিএস ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ওই অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে হলে প্রাক্কলিত হিসাব দিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বছর শেষে এই হার আরও কমে যেতে পারে। এর আগে বিবিএস জিডিপির যে প্রাক্কলিত হিসাব দিত চূড়ান্ত হিসাবে তা আরও কমে যেত। কিন্তু বছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে গেল। ফলে গত অর্থবছরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, ওই সময় রাজনৈতিক গোলযোগ ছিল ঠিকই। কিন্তু দেশের অর্থনীতি থেমে ছিল না। কোনো কলকারখানা বন্ধ ছিল না। রফতানি পণ্য বিজিবি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় বন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ফলে রফতানি আয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। এছাড়া রাজধানীর বাজার বা অন্য কোথাও কোনোকিছুর সংকট ছিল না। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির এই হিসাবই সঠিক। সরকার জাতীয় উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই অর্জন করা সম্ভব হবে।
গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধির হার বাড়লেও কৃষি খাতে তা ধরে রাখা যায়নি। গত অর্থবছরে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর আগের বছর ছিল ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে সেবা খাতে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ যা তার আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বিবিএসে যে পদ্ধতিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হিসাব করে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতির হিসাবটা উঠে আসে না। কিন্তু হরতাল অবরোধে পরিবহন তথা সেবা ও শিল্প খাতের যে ক্ষতি হয়েছে তা মোট জিডিপির ১ শতাংশের সমান। তিনি বলেন, খাতার হিসাব আর বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। কেননা ক্ষতি যে হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু বিবিএসের হিসাব পদ্ধতির দুর্বলতার কারণে তা ধরা পড়েনি।
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, গত অর্থবছরে জিডিপির যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। এর আগে দেশের ইতিহাসে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
বিবিএস ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ওই অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে হলে প্রাক্কলিত হিসাব দিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বছর শেষে এই হার আরও কমে যেতে পারে। এর আগে বিবিএস জিডিপির যে প্রাক্কলিত হিসাব দিত চূড়ান্ত হিসাবে তা আরও কমে যেত। কিন্তু বছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে গেল। ফলে গত অর্থবছরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, ওই সময় রাজনৈতিক গোলযোগ ছিল ঠিকই। কিন্তু দেশের অর্থনীতি থেমে ছিল না। কোনো কলকারখানা বন্ধ ছিল না। রফতানি পণ্য বিজিবি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় বন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ফলে রফতানি আয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। এছাড়া রাজধানীর বাজার বা অন্য কোথাও কোনোকিছুর সংকট ছিল না। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির এই হিসাবই সঠিক। সরকার জাতীয় উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই অর্জন করা সম্ভব হবে।
গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধির হার বাড়লেও কৃষি খাতে তা ধরে রাখা যায়নি। গত অর্থবছরে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর আগের বছর ছিল ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে সেবা খাতে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ যা তার আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বিবিএসে যে পদ্ধতিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হিসাব করে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতির হিসাবটা উঠে আসে না। কিন্তু হরতাল অবরোধে পরিবহন তথা সেবা ও শিল্প খাতের যে ক্ষতি হয়েছে তা মোট জিডিপির ১ শতাংশের সমান। তিনি বলেন, খাতার হিসাব আর বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। কেননা ক্ষতি যে হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু বিবিএসের হিসাব পদ্ধতির দুর্বলতার কারণে তা ধরা পড়েনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
২০১৪-১৫ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ
যুগান্তর রিপোর্ট
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১২:০০ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা বর্তমান আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। এর আগে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাক্কলনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, গত অর্থবছরে জিডিপির যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। এর আগে দেশের ইতিহাসে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
বিবিএস ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ওই অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে হলে প্রাক্কলিত হিসাব দিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বছর শেষে এই হার আরও কমে যেতে পারে। এর আগে বিবিএস জিডিপির যে প্রাক্কলিত হিসাব দিত চূড়ান্ত হিসাবে তা আরও কমে যেত। কিন্তু বছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে গেল। ফলে গত অর্থবছরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, ওই সময় রাজনৈতিক গোলযোগ ছিল ঠিকই। কিন্তু দেশের অর্থনীতি থেমে ছিল না। কোনো কলকারখানা বন্ধ ছিল না। রফতানি পণ্য বিজিবি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় বন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ফলে রফতানি আয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। এছাড়া রাজধানীর বাজার বা অন্য কোথাও কোনোকিছুর সংকট ছিল না। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির এই হিসাবই সঠিক। সরকার জাতীয় উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই অর্জন করা সম্ভব হবে।
গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধির হার বাড়লেও কৃষি খাতে তা ধরে রাখা যায়নি। গত অর্থবছরে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর আগের বছর ছিল ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে সেবা খাতে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ যা তার আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বিবিএসে যে পদ্ধতিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হিসাব করে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতির হিসাবটা উঠে আসে না। কিন্তু হরতাল অবরোধে পরিবহন তথা সেবা ও শিল্প খাতের যে ক্ষতি হয়েছে তা মোট জিডিপির ১ শতাংশের সমান। তিনি বলেন, খাতার হিসাব আর বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। কেননা ক্ষতি যে হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু বিবিএসের হিসাব পদ্ধতির দুর্বলতার কারণে তা ধরা পড়েনি।
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, গত অর্থবছরে জিডিপির যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। এর আগে দেশের ইতিহাসে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
বিবিএস ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ওই অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে হলে প্রাক্কলিত হিসাব দিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বছর শেষে এই হার আরও কমে যেতে পারে। এর আগে বিবিএস জিডিপির যে প্রাক্কলিত হিসাব দিত চূড়ান্ত হিসাবে তা আরও কমে যেত। কিন্তু বছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে গেল। ফলে গত অর্থবছরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল বলেন, ওই সময় রাজনৈতিক গোলযোগ ছিল ঠিকই। কিন্তু দেশের অর্থনীতি থেমে ছিল না। কোনো কলকারখানা বন্ধ ছিল না। রফতানি পণ্য বিজিবি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় বন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ফলে রফতানি আয়ে কোনো প্রভাব পড়েনি। এছাড়া রাজধানীর বাজার বা অন্য কোথাও কোনোকিছুর সংকট ছিল না। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির এই হিসাবই সঠিক। সরকার জাতীয় উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই অর্জন করা সম্ভব হবে।
গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধির হার বাড়লেও কৃষি খাতে তা ধরে রাখা যায়নি। গত অর্থবছরে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর আগের বছর ছিল ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে সেবা খাতে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ যা তার আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বিবিএসে যে পদ্ধতিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হিসাব করে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতির হিসাবটা উঠে আসে না। কিন্তু হরতাল অবরোধে পরিবহন তথা সেবা ও শিল্প খাতের যে ক্ষতি হয়েছে তা মোট জিডিপির ১ শতাংশের সমান। তিনি বলেন, খাতার হিসাব আর বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। কেননা ক্ষতি যে হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু বিবিএসের হিসাব পদ্ধতির দুর্বলতার কারণে তা ধরা পড়েনি।