অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল দেবাশীষ বিশ্বাসের তৃতীয় ছবি ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ নিয়ে। শুরুর দিকে সেই প্রত্যাশা মেটানোর আয়োজনও ছিল। কিন্তু দেশের বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আশানুরূপ প্রত্যাশায় কিছুটা হতাশাও জমা হয়েছিল। তবুও সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’। শুধু ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ নয়, দেবাশীষ বিশ্বাসের সফলতাকেও জিন্দাবাদ বলতে হয়। অতি সাধারণ আর চিরচেনা একটি গল্পকে দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করে সাফল্য পাওয়া সহজ কথা নয়। বিশেষ করে দেশীয় চলচ্চিত্রের দীর্ঘদিনের নড়বড়ে অবস্থায় দর্শকমন জয় করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। ৮ নভেম্বর মুক্তি পেল দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’। নানা বিনোদনে ভরপুর ছিল এ চলচ্চিত্রটি। ছবির প্রধান সার্থকতা হল একজন দক্ষ অভিনেতা ও রূপবতী নায়িকা উপহার দেওয়া। যদিও অভিনেতা আরেফিন শুভর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘ছায়াছবি’ ও মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’। ‘ছায়াছবি’ এখনও মুক্তি পায়নি এবং ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’তে তার চরিত্রের গভীরতা ছিল না। সেই হিসেবে শুভকে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রের নতুন নায়ক হিসেবে পেয়েছে দর্শক। সাবলীলভাবে নিজেকে পর্দায় উপস্থাপনের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন শুভ। অন্যদিকে নবাগতা হিসেবে আইরিনও চমক দেখিয়েছেন। চলচ্চিত্রে প্রথম হলেও তার অভিনয়ে কোনো জড়তা ছিল না। একজন দক্ষ নির্মাতাই পারেন সফল অভিনয় শিল্পী তৈরি করতে। দেবাশীষ সেই চেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে। ২০১৩ সালের সফল চলচ্চিত্রের ঝুলিকে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ ছবিটি পূর্ণতা দিতে পারবে বলেই অনেকের বিশ্বাস।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
তবুও ভালো চলছে ভালোবাসা জিন্দাবাদ
অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল দেবাশীষ বিশ্বাসের তৃতীয় ছবি ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ নিয়ে। শুরুর দিকে সেই প্রত্যাশা মেটানোর আয়োজনও ছিল। কিন্তু দেশের বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আশানুরূপ প্রত্যাশায় কিছুটা হতাশাও জমা হয়েছিল। তবুও সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’। শুধু ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ নয়, দেবাশীষ বিশ্বাসের সফলতাকেও জিন্দাবাদ বলতে হয়। অতি সাধারণ আর চিরচেনা একটি গল্পকে দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করে সাফল্য পাওয়া সহজ কথা নয়। বিশেষ করে দেশীয় চলচ্চিত্রের দীর্ঘদিনের নড়বড়ে অবস্থায় দর্শকমন জয় করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। ৮ নভেম্বর মুক্তি পেল দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’। নানা বিনোদনে ভরপুর ছিল এ চলচ্চিত্রটি। ছবির প্রধান সার্থকতা হল একজন দক্ষ অভিনেতা ও রূপবতী নায়িকা উপহার দেওয়া। যদিও অভিনেতা আরেফিন শুভর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘ছায়াছবি’ ও মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’। ‘ছায়াছবি’ এখনও মুক্তি পায়নি এবং ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’তে তার চরিত্রের গভীরতা ছিল না। সেই হিসেবে শুভকে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রের নতুন নায়ক হিসেবে পেয়েছে দর্শক। সাবলীলভাবে নিজেকে পর্দায় উপস্থাপনের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন শুভ। অন্যদিকে নবাগতা হিসেবে আইরিনও চমক দেখিয়েছেন। চলচ্চিত্রে প্রথম হলেও তার অভিনয়ে কোনো জড়তা ছিল না। একজন দক্ষ নির্মাতাই পারেন সফল অভিনয় শিল্পী তৈরি করতে। দেবাশীষ সেই চেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে। ২০১৩ সালের সফল চলচ্চিত্রের ঝুলিকে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ ছবিটি পূর্ণতা দিতে পারবে বলেই অনেকের বিশ্বাস।