jugantor
সুনামগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি

  সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি  

৩১ জানুয়ারি ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় এক ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি পারিবারিক রহস্যের জালেই বন্দি হয়ে আছে। গত দু’দিনে স্থানীয় থানাপুলিশ এ রহস্যের জাল উন্মোচন করতে পারেনি। উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে ওমান প্রবাসী মাহমুদ আলীর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী লায়লা বেগম বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বসতঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহত লায়লা বেগমের পিতার বাড়ির লোকজন অভিযোগ তুলেছেন যে, স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে পারিবারিক নির্যাতনের মাধ্যমেই লায়লাকে হত্যা করে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর আগে ওমান প্রবাসী মাহমুদ আলীর সঙ্গে লায়লা বেগমের বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ১৩ বছরের সংসার জীবনের অবসান ঘটিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে লায়লা বেগম। মাহমুদ আলীর সহোদর আবদুল হামিদ জানান, আমি সকালে হাওরে কৃষিকাজে চলে গেলে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন আসে আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লায়লার মুখ মণ্ডলে ও গলায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এমন প্রশ্নের উওর না দিয়ে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। নিহত লায়লার বড় ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বোনের বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্যজীবন বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু ওই পরিবারের লোকজন বেশ ক’বছর ধরেই আমার বোনকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল আমার বোন। যদি আত্মহত্যাই করবে তবে তার মুখে ও গলায় কেনইবা আঘাতের চিহ্ন থাকবে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলআমিন জানান, পরিবারের লোকজন জানিয়েছে মহিলাটি আত্মহত্যা করেছেন, আপাতত থানায় অপমৃত্যু মামলা ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এছাড়াও নিহতের মুখমণ্ডলে গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে তিনি বললেন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।



সাবমিট

সুনামগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি

 সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি 
৩১ জানুয়ারি ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় এক ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি পারিবারিক রহস্যের জালেই বন্দি হয়ে আছে। গত দু’দিনে স্থানীয় থানাপুলিশ এ রহস্যের জাল উন্মোচন করতে পারেনি। উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে ওমান প্রবাসী মাহমুদ আলীর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী লায়লা বেগম বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বসতঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহত লায়লা বেগমের পিতার বাড়ির লোকজন অভিযোগ তুলেছেন যে, স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে পারিবারিক নির্যাতনের মাধ্যমেই লায়লাকে হত্যা করে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর আগে ওমান প্রবাসী মাহমুদ আলীর সঙ্গে লায়লা বেগমের বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ১৩ বছরের সংসার জীবনের অবসান ঘটিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে লায়লা বেগম। মাহমুদ আলীর সহোদর আবদুল হামিদ জানান, আমি সকালে হাওরে কৃষিকাজে চলে গেলে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন আসে আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লায়লার মুখ মণ্ডলে ও গলায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এমন প্রশ্নের উওর না দিয়ে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। নিহত লায়লার বড় ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বোনের বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্যজীবন বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু ওই পরিবারের লোকজন বেশ ক’বছর ধরেই আমার বোনকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল আমার বোন। যদি আত্মহত্যাই করবে তবে তার মুখে ও গলায় কেনইবা আঘাতের চিহ্ন থাকবে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলআমিন জানান, পরিবারের লোকজন জানিয়েছে মহিলাটি আত্মহত্যা করেছেন, আপাতত থানায় অপমৃত্যু মামলা ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এছাড়াও নিহতের মুখমণ্ডলে গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে তিনি বললেন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র