jugantor
ভাঙ্গায় দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : ফাঁকা গুলি
পুলিশসহ আহত ৫০ : আটক ৫

  ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি  

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

ভাঙ্গা উপজেলার পৌর এলাকার নওপাড়া গ্রামে বুধবার সকালে সরকারি জায়গার ওপর ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙ্গা থানার দুই এসআই, মহিলাসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ১০টি বসতঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর ও নগত টাকা, স্বর্ণ, মোবাইল সেট লুটপাট করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশতার্ধিক ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। আহতরা হল- থানার এসআই মুকুল, এসআই লিয়াকত।

গ্রামবাসীর মধ্যে শিউলী বেগম, লিসা বেগম, কাজলী, আতিকুর, হাফিজ মুন্সি, মহিউদ্দিন মুন্সি, তিতু মির্জা, ইব্রাহিম মুন্সি, হারুন সেক, সাব্বির সেক প্রমুখ। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছলেমান শেখ, আবু কালাম সেক, নিজাম, নূর ইসলাম ও লিটু নামে ৫ জনকে আটক করে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নওপাড়া গ্রামের কুটি ফকির একটি সরকারি জায়গা দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করাকে কেন্দ করে এলাকার জিয়াউর রহমান ও অ্যাডভোকেট জহুরুল হকের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং আতিকুর রহমান নামের একজনকে জিয়াউর রহমানের লোকজন মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে দু’দল গ্রামবাসী রামদা, সড়কি, টেঁটা, বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় গ্র“পের ১০টি বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরা হলেন- মীর্জা আবু তালেপ, অ্যাডভোকেট জহুরুল হক, সিদ্দিক মোল্লা, হারুন সেক, কুদ্দুছ সেক, শাহীন সেক, বাচ্চু মাতুব্বর, তসলিম সেক, রেজাউল সেক, তারা মীর্জা ও কাওছার সেক। ভাঙ্গা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুশিল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ সময়ে ৪৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



সাবমিট

ভাঙ্গায় দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : ফাঁকা গুলি

পুলিশসহ আহত ৫০ : আটক ৫
 ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি 
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
ভাঙ্গা উপজেলার পৌর এলাকার নওপাড়া গ্রামে বুধবার সকালে সরকারি জায়গার ওপর ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙ্গা থানার দুই এসআই, মহিলাসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ১০টি বসতঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর ও নগত টাকা, স্বর্ণ, মোবাইল সেট লুটপাট করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশতার্ধিক ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। আহতরা হল- থানার এসআই মুকুল, এসআই লিয়াকত।

গ্রামবাসীর মধ্যে শিউলী বেগম, লিসা বেগম, কাজলী, আতিকুর, হাফিজ মুন্সি, মহিউদ্দিন মুন্সি, তিতু মির্জা, ইব্রাহিম মুন্সি, হারুন সেক, সাব্বির সেক প্রমুখ। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছলেমান শেখ, আবু কালাম সেক, নিজাম, নূর ইসলাম ও লিটু নামে ৫ জনকে আটক করে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নওপাড়া গ্রামের কুটি ফকির একটি সরকারি জায়গা দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করাকে কেন্দ করে এলাকার জিয়াউর রহমান ও অ্যাডভোকেট জহুরুল হকের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং আতিকুর রহমান নামের একজনকে জিয়াউর রহমানের লোকজন মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে দু’দল গ্রামবাসী রামদা, সড়কি, টেঁটা, বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় গ্র“পের ১০টি বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরা হলেন- মীর্জা আবু তালেপ, অ্যাডভোকেট জহুরুল হক, সিদ্দিক মোল্লা, হারুন সেক, কুদ্দুছ সেক, শাহীন সেক, বাচ্চু মাতুব্বর, তসলিম সেক, রেজাউল সেক, তারা মীর্জা ও কাওছার সেক। ভাঙ্গা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুশিল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ সময়ে ৪৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র