jugantor
মঠবাড়িয়ায় সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণ

  আবদুস সালাম আজাদী, মঠবাড়িয়া থেকে  

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা বাজারসংলগ্ন সেতু এলাকায় কাছারিবাড়ি খাল দখল করে দুটি পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে একটি উচ্ছেদ মামলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, কাছারিবাড়ির খালের ওপর সেতুর দক্ষিণ দিক খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া-সাপলেজা সড়কের কাছারিবাড়ি খালের ওপর নির্মিত সেতুর সাপলেজা বাজার অংশে খাল দখল করে দুটি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের সৌদি প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী এলাচি বেগম। এক মাস আগে এলাচি বেগম খালের মধ্যে পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করলে সাপলেজা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র পাল সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে লিখিত প্রতিবেদন পাঠান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সেতুর পাশে কাছারিবাড়ি খালের জমি দখল করে এলাচি বেগম পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামাল হোসেন সরেজমিনে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে জমি পরিমাপ করান। সার্ভেয়ার খালের জমি পরিমাপ করে দেখেন এলাচি বেগম তার জমির সঙ্গে খালের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।

সার্ভেয়ার ইউসুফ তালুকদার বলেন, সাপলেজা মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ৬৫৬ দাগ নম্বরে খালের জমি দখল করে এলাচি বেগম সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের পূর্ব পাশে তিনি ৫০ ফুট দৈর্ঘ ও ১০ ফুট প্রস্থ এবং পশ্চিম পাশে ২০ ফুট দৈর্ঘ ও ১০ ফুট প্রস্থ দুটি পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।

তবে এলাচি বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খালের জমি দখল করে নয়। ১৯৯৮ সালে এক ব্যক্তির কাছ থেকে আমি ওই জমি কিনে ২০১২ সালে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করি। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে খালের বাঁধ কেটে দিলে আমার ভবনটি খালে হেলে পড়ে। এরপর এখানে সেতু নির্মাণ করার পর আমার জমিতে আবার পাকা ভবন করছি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামাল হোসেন বলেন, সার্ভেয়ার জমিটি পরিমাপ করে দেখেছেন এলাচি বেগমের নির্মাণাধীন ভবনের কিছু অংশ খালের জমিতে পড়েছে। এরপর আমি তাকে খালের জমিতে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করলেও তিনি ভবনের কাজ চালিয়ে যান। এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি আমার কার্যালয় থেকে একটি উচ্ছেদের মামলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বলেন, সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) নির্মাণ করেছে। সেতুর বেইজের ওপর ভবন নির্মাণের খবর আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।



সাবমিট

মঠবাড়িয়ায় সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণ

 আবদুস সালাম আজাদী, মঠবাড়িয়া থেকে 
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা বাজারসংলগ্ন সেতু এলাকায় কাছারিবাড়ি খাল দখল করে দুটি পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে একটি উচ্ছেদ মামলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, কাছারিবাড়ির খালের ওপর সেতুর দক্ষিণ দিক খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া-সাপলেজা সড়কের কাছারিবাড়ি খালের ওপর নির্মিত সেতুর সাপলেজা বাজার অংশে খাল দখল করে দুটি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের সৌদি প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী এলাচি বেগম। এক মাস আগে এলাচি বেগম খালের মধ্যে পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করলে সাপলেজা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র পাল সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে লিখিত প্রতিবেদন পাঠান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সেতুর পাশে কাছারিবাড়ি খালের জমি দখল করে এলাচি বেগম পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামাল হোসেন সরেজমিনে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে জমি পরিমাপ করান। সার্ভেয়ার খালের জমি পরিমাপ করে দেখেন এলাচি বেগম তার জমির সঙ্গে খালের জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।

সার্ভেয়ার ইউসুফ তালুকদার বলেন, সাপলেজা মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ৬৫৬ দাগ নম্বরে খালের জমি দখল করে এলাচি বেগম সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের পূর্ব পাশে তিনি ৫০ ফুট দৈর্ঘ ও ১০ ফুট প্রস্থ এবং পশ্চিম পাশে ২০ ফুট দৈর্ঘ ও ১০ ফুট প্রস্থ দুটি পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।

তবে এলাচি বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খালের জমি দখল করে নয়। ১৯৯৮ সালে এক ব্যক্তির কাছ থেকে আমি ওই জমি কিনে ২০১২ সালে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করি। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে খালের বাঁধ কেটে দিলে আমার ভবনটি খালে হেলে পড়ে। এরপর এখানে সেতু নির্মাণ করার পর আমার জমিতে আবার পাকা ভবন করছি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামাল হোসেন বলেন, সার্ভেয়ার জমিটি পরিমাপ করে দেখেছেন এলাচি বেগমের নির্মাণাধীন ভবনের কিছু অংশ খালের জমিতে পড়েছে। এরপর আমি তাকে খালের জমিতে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করলেও তিনি ভবনের কাজ চালিয়ে যান। এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি আমার কার্যালয় থেকে একটি উচ্ছেদের মামলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বলেন, সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) নির্মাণ করেছে। সেতুর বেইজের ওপর ভবন নির্মাণের খবর আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র