হবিগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাইদের হাতে এক ভাই খুন হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ভাইকে পুলিশ আটক করেছে। একই সঙ্গে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শহরতলীর সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকালে পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় নিজ বাসায় মৃত আনছব আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ (৩৫) এর সঙ্গে তার সৎ ভাই ইলিয়াছ ও তোফাজ্জলের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইলিয়াছ ও তোফাজ্জল উত্তেজিত হয়ে হারুনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হারুনকে তারা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মহসিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ইলিয়াছ ও তোফাজ্জলকে আটক করে। এলাকাবাসী জানায়, হারুন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। ছোটকাল থেকেই সে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। একটি অস্ত্র মামলায় সে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল। মুক্ত হওয়ার পর সে ভাইদের নিয়ে ফার্নিচার ব্যবসা শুরু করে। হারুন শহরের বাসায় বসবাস করলেও অন্যরা গ্রামের বাড়িতে বসবাস করত। সম্প্রতি বাসা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হবিগঞ্জে ছোট ভাইদের হাতে বড় ভাই খুন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
০১ এপ্রিল ২০১৫, ১২:০০ এএম |
হবিগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাইদের হাতে এক ভাই খুন হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ভাইকে পুলিশ আটক করেছে। একই সঙ্গে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শহরতলীর সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকালে পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় নিজ বাসায় মৃত আনছব আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ (৩৫) এর সঙ্গে তার সৎ ভাই ইলিয়াছ ও তোফাজ্জলের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইলিয়াছ ও তোফাজ্জল উত্তেজিত হয়ে হারুনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হারুনকে তারা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মহসিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ইলিয়াছ ও তোফাজ্জলকে আটক করে। এলাকাবাসী জানায়, হারুন ভাইদের মধ্যে সবার বড়। ছোটকাল থেকেই সে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। একটি অস্ত্র মামলায় সে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল। মুক্ত হওয়ার পর সে ভাইদের নিয়ে ফার্নিচার ব্যবসা শুরু করে। হারুন শহরের বাসায় বসবাস করলেও অন্যরা গ্রামের বাড়িতে বসবাস করত। সম্প্রতি বাসা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে।