আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হয়েছে। এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না, যার মাধ্যমে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আর ক্ষমতার টিকে থাকতে হলে আরো সতর্ক হতে হবে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ) আয়োজিত বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন। এসময় তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিগত দিনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে এক হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানান।
আমু বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতা বিরোধীরা মানুষ হত্যা করেছে, ২০০১ সালে ক্ষমতার এসে আওয়ামী লীগের ৩৩ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, নারী নির্যাতন করেছে। এবারো তারা আন্দোলনের নামে ৫২ জন ট্রাকচালক, পুলিশ সদস্য, সাধারণ মানুষসহ বাসে ঘুমন্ত যাত্রীকে পেট্টল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে।
বিএনপির উদ্দেশ আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, বিএনপি দাবি করে তারা ২০০১ সালে সরকার গঠন করার পর আওয়ামী লীগ ১৭২ দিন হরতাল দিয়েছিল। তাদের দাবি অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা আন্দোলনের নামে গান পাউডার ব্যবহার করিনি, মানুষ হত্যা করিনি, তাদের কোনো নেতাকর্মীর হাত-পায়ের রগ কেটে দেইনি।
আমু আরো বলেন, বিএনপি আবার নির্বাচনের কথা ভাবছে, আবার তারা মাঝে মাঝেই বলছে এই সরকার অবৈধ, এই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা যায় না। অবৈধ বলে সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে আসলেন না। নির্বাচনে আসতে হলে শেখ হাসিনার অধীনেই আসতে হবে এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করেই আসতে হবে। কান কেটে নাকে খত দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েই নির্বাচনে আসতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ক্ষমতায় টিকে থাকতে সতর্ক হওয়ার আহবান আমুর
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হয়েছে। এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না, যার মাধ্যমে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আর ক্ষমতার টিকে থাকতে হলে আরো সতর্ক হতে হবে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ) আয়োজিত বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন। এসময় তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিগত দিনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে এক হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানান।
আমু বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতা বিরোধীরা মানুষ হত্যা করেছে, ২০০১ সালে ক্ষমতার এসে আওয়ামী লীগের ৩৩ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, নারী নির্যাতন করেছে। এবারো তারা আন্দোলনের নামে ৫২ জন ট্রাকচালক, পুলিশ সদস্য, সাধারণ মানুষসহ বাসে ঘুমন্ত যাত্রীকে পেট্টল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে।
বিএনপির উদ্দেশ আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, বিএনপি দাবি করে তারা ২০০১ সালে সরকার গঠন করার পর আওয়ামী লীগ ১৭২ দিন হরতাল দিয়েছিল। তাদের দাবি অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা আন্দোলনের নামে গান পাউডার ব্যবহার করিনি, মানুষ হত্যা করিনি, তাদের কোনো নেতাকর্মীর হাত-পায়ের রগ কেটে দেইনি।
আমু আরো বলেন, বিএনপি আবার নির্বাচনের কথা ভাবছে, আবার তারা মাঝে মাঝেই বলছে এই সরকার অবৈধ, এই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা যায় না। অবৈধ বলে সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে আসলেন না। নির্বাচনে আসতে হলে শেখ হাসিনার অধীনেই আসতে হবে এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করেই আসতে হবে। কান কেটে নাকে খত দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েই নির্বাচনে আসতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।