বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত ৩০৩ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশী ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিং ও আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন হয়। এ স্কোর গড়তে ১২২ রানের জুটি ভারতকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। ফিল্ডার ও আম্পায়রদের কল্যাণে একাধিকবার বেঁচে যাওয়া রোহিত ১৩৭ রান করেঁ তাসকিনের বলে সরাসরি বোল্ড হন। এর আগে একাধিক লাইফ পাওয়া সুরেশ রায়না ৬৫ রান করে মাশরাফির বলে আউট হন। এছাড়া ওপেনার শেখর ধাওয়ান ৩০ রানে মুশফিকের দক্ষতায় সাকিবের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। এছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা উল্লেখ করার মত রান করতে পারেননি।
বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ৩ উইকেট পান। আর মাশরাফি, রুবেল ও সাকিব একটি করে উইকেট শিকার করেন।
রুবেল হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচটা লুফে নিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু আম্পায়ার ইয়ান গোড ‘নো’ বল ডেকে বসেন। অপরাধ, কোমরের ওপরের উচ্চতায় বল ছোড়া।
কিন্তু বলটা কি আসলেই কোমরের ওপরের উচ্চতায় ছিল? রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বলটা কোমরের নিচেই থাকত। রোহিত খানিকটা নিচে নেমে খেলেছেন। বলটা তখন ছিল নিন্মমুখী। ভাষ্যকার শেন ওয়ার্ন তো বলেই বসলেন, ‘এটা নো বল ছিল না। খুবই বাজে সিদ্ধান্ত।’ ক্রিকেট বিশ্বের অনেক সাবেক তারকাও আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। টুইট করছেন। এমনকি ভারতের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণও টুইট করেছেন, ‘গৌল্ডের সিদ্ধান্তটা একদমই বাজে। বলটা নিশ্চিতভাবেই কোমরের ওপরে ছিল না। রোহিত সৌভাগ্যক্রমে আরেকটা জীবন পেল। এটাই হয়তো আরও ২০টা রান বেশি তুলে দেবে ভারতকে।’
সাধারণত কোমরের ওপরের উচ্চতার সিদ্ধান্তের জন্য মূল আম্পায়ার লেগ আয়াম্পারের দারস্থ হন। কারণ লেগ আম্পায়ারই সবচেয়ে ভালো দেখতে পারেন দৃশ্যটা। কিন্তু এক্ষেত্রে লেগ আম্পায়ার আলীম দারের জন্য অপেক্ষাই করেননি গৌল্ড।
তৃতীয় উইকেটের পতনের পর সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগুতে থাকে ভারত। এরপর ব্যাটিং পাওয়ার প্লে থেকে সংগ্রহ বাড়াতে বোলারদের ওপর চড়াও হয় ধোনী বাহিনী।
এর আগে ২৮তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়লেন অজিনকা রাহানে। ব্যক্তিগত ১৯ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি। প্রথমে ৭৫ রানের ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব। তৃতীয় ব্যাটসম্যন কোহেলিকে ফেরান রুবেল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দুই ওপেনার ৭৫ রানের জুটি গড়েন। ৫ম বোলার হিসেবে ১৭তম ওভারে সাকিবের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে শিখর ধাওয়ানকে স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হন ধাওয়ান। পরের ওভারেই রুবেলের শট বলে কটবিহাইন্ড হয়ে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত ৩ রানে মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহেলি।
তারপর রোহিত-রায়নার পঞ্চম জুটিতে ১২২ রানের সুবাদে বড় স্কোরের ভিত গড়ে ভারত।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজিতে শেষ ১০ ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছে আগে ব্যাট করা দল।
টসের সময় মাশরাফি জানান, এমসিজিতে প্রথমে ব্যাট করার ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশেরও।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাংলাদেশের টার্গেট ৩০৩ রান [ভিডিওসহ]
বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত ৩০৩ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশী ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিং ও আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন হয়। এ স্কোর গড়তে ১২২ রানের জুটি ভারতকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। ফিল্ডার ও আম্পায়রদের কল্যাণে একাধিকবার বেঁচে যাওয়া রোহিত ১৩৭ রান করেঁ তাসকিনের বলে সরাসরি বোল্ড হন। এর আগে একাধিক লাইফ পাওয়া সুরেশ রায়না ৬৫ রান করে মাশরাফির বলে আউট হন। এছাড়া ওপেনার শেখর ধাওয়ান ৩০ রানে মুশফিকের দক্ষতায় সাকিবের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। এছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা উল্লেখ করার মত রান করতে পারেননি।
বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ৩ উইকেট পান। আর মাশরাফি, রুবেল ও সাকিব একটি করে উইকেট শিকার করেন।
রুবেল হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচটা লুফে নিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু আম্পায়ার ইয়ান গোড ‘নো’ বল ডেকে বসেন। অপরাধ, কোমরের ওপরের উচ্চতায় বল ছোড়া।
কিন্তু বলটা কি আসলেই কোমরের ওপরের উচ্চতায় ছিল? রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বলটা কোমরের নিচেই থাকত। রোহিত খানিকটা নিচে নেমে খেলেছেন। বলটা তখন ছিল নিন্মমুখী। ভাষ্যকার শেন ওয়ার্ন তো বলেই বসলেন, ‘এটা নো বল ছিল না। খুবই বাজে সিদ্ধান্ত।’ ক্রিকেট বিশ্বের অনেক সাবেক তারকাও আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। টুইট করছেন। এমনকি ভারতের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণও টুইট করেছেন, ‘গৌল্ডের সিদ্ধান্তটা একদমই বাজে। বলটা নিশ্চিতভাবেই কোমরের ওপরে ছিল না। রোহিত সৌভাগ্যক্রমে আরেকটা জীবন পেল। এটাই হয়তো আরও ২০টা রান বেশি তুলে দেবে ভারতকে।’
সাধারণত কোমরের ওপরের উচ্চতার সিদ্ধান্তের জন্য মূল আম্পায়ার লেগ আয়াম্পারের দারস্থ হন। কারণ লেগ আম্পায়ারই সবচেয়ে ভালো দেখতে পারেন দৃশ্যটা। কিন্তু এক্ষেত্রে লেগ আম্পায়ার আলীম দারের জন্য অপেক্ষাই করেননি গৌল্ড।
তৃতীয় উইকেটের পতনের পর সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগুতে থাকে ভারত। এরপর ব্যাটিং পাওয়ার প্লে থেকে সংগ্রহ বাড়াতে বোলারদের ওপর চড়াও হয় ধোনী বাহিনী।
এর আগে ২৮তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়লেন অজিনকা রাহানে। ব্যক্তিগত ১৯ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি। প্রথমে ৭৫ রানের ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব। তৃতীয় ব্যাটসম্যন কোহেলিকে ফেরান রুবেল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দুই ওপেনার ৭৫ রানের জুটি গড়েন। ৫ম বোলার হিসেবে ১৭তম ওভারে সাকিবের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে শিখর ধাওয়ানকে স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ৩০ রানে আউট হন ধাওয়ান। পরের ওভারেই রুবেলের শট বলে কটবিহাইন্ড হয়ে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত ৩ রানে মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহেলি।
তারপর রোহিত-রায়নার পঞ্চম জুটিতে ১২২ রানের সুবাদে বড় স্কোরের ভিত গড়ে ভারত।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজিতে শেষ ১০ ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছে আগে ব্যাট করা দল।
টসের সময় মাশরাফি জানান, এমসিজিতে প্রথমে ব্যাট করার ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশেরও।