সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে : সিইসি
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল | প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০১৫

ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন । পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র রক্ষা করুন।’
তিনি বলেন, সিটি নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযাগ্য করতে যা প্রয়োজন তাই করা হবে।
সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সিইসি। মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
সিইসি বলেন, আমরা কোনোভাবেই ভোটকেন্দ্রে বেআইনি কাজ করতে দেব না। হলফনামায় যদি কেউ ভুল তথ্য দেয়, তাহলে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারো মুখ চেয়ে নয়।
কাজী রকিবউদ্দীন আরো বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আপনারা আইন ভঙ্গ করবেন না। আইন ভঙ্গ করে নিজের ক্ষতি করবেন না।
মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ও মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান।
এ সময় মির্জা আব্বাসের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানাচ্ছি। উপজেলার মতো যেন আগেই ভোট না দেওয়া হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন সবার প্রতি সমান আচরণের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘পুলিশ তো থাকবেই। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে নির্বাচনের প্রতি জনগণের বিশ্বাস বাড়বে।
ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান। তিনি নির্বাচনের কমপক্ষে সাত দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।
আরেক মেয়র পদপ্রার্থী মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।
এ ছাড়া এমন একটি সাধারণ পোস্টারের দাবি করেন প্রার্থীরা, যেখানে সব প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক থাকবে।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মমতাজ চৌধুরী টিটু, আখতারুজ্জামান, মো. জামালউদ্দিন জামালসহ অন্যরাও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে।