চাল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ
ঢাকা ১০ মে: | প্রকাশ : ১০ মে ২০১৫
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চাল আমদানির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে সরকার।তিনি রোববার থেকেই তা কার্যকর হয়েছে।
রোববার বিকালে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট অলোচনার শুরুতেই অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম পায় সেজন্য চাল আমদানির উপর ১০ শতাংশ ডিউটি ইমপোজ করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিবিসি বাংলার সংলাপে বলেছিলেন, সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে আমদানিতে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং চাল আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।
গত তিন বছর সরকারিভাবে কোনো চাল আমদানি না হলেও খাদ্যদ্রব্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক না থাকায় বেসরকারি পর্যায়ে অনেকে সেই সুযোগ নিয়ে চাল আমদানি করছে।
আমদানির বিরোধিতা করে কৃষকরা বলে আসছিলেন, ভারত থেকে কম দামে চাল আমদানি করায় তাদের ফসলের উৎপাদন ব্যয় উঠে আসা কঠিন হয়ে পড়েছে।
একদিকে বাংলাদেশে ধানের ভালো ফলন এবং অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে ভারত থেকে চাল আমদানি- এই দুই মিলিয়ে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) চাল আমদানির জন্য ৪৭ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে।
এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৬ শতাংশ বেশি। এই সময়ে ৪৩ কোটি ডলারের এলসি নিস্পত্তি হয়েছে। সূত্র বিডি নিউজ।