সোনার হরিণ একটি টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে সারা রাত। তারপরেও নিশ্চয়তা নেই টিকিটের। তবুও সারা রাত ধরে নির্ঘুম কাটাচ্ছেন টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে।
শুধু পুরুষরাই নয়, রয়েছেন অনেক মহিলাও। শুধুমাত্র একটি টিকিটের প্রত্যাশায়। এমনই চিত্র কমলাপুর রেল স্টেশনের।
শুধু পুরুষরাই নয়, রয়েছেন অনেক মহিলাও। শুধুমাত্র একটি টিকিটের প্রত্যাশায়। এমনই চিত্র কমলাপুর রেল স্টেশনের।
টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিকিট পাওয়ার জন্য আগের দিনে সন্ধ্যা থেকেই লাইনে দাঁড়াতে হয়। সারা রাত ধরেই অবস্থান করতে হয় টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য।
তবে নারীদের জন্য রাতে লাইনে দাড়িয়ে থাকা যেনো এক দুঃস্বপ্ন। পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মহিলা টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়ান সালমা বেগম। ভয়, উৎকণ্ঠা আর শংকা নিয়েই কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বসে।
আর মধ্যরাত হতেই পাশের লাইনে থাকা কয়েক যুবক অশ্লীল প্যারোডি গান গাওয়া শুরু করে। তাকেসহ কয়েকজন নারীকে ইঙ্গিত করে নানা ভঙ্গিতে তাকিয়ে বাজে বাজে কথা বলছিল। কেউ কেউ পত্রিকার কাগজ ছিঁড়ে গোল করে ঢিল ছুড়ে দিচ্ছিল।
তারপর আর ঘুম হয়নি মা-মেয়ের। ভুক্তভোগী এ নারী বলছিলেন, এ এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা যা কোনোদিন ভোলা যাবে না।
আর মধ্যরাত হতেই পাশের লাইনে থাকা কয়েক যুবক অশ্লীল প্যারোডি গান গাওয়া শুরু করে। তাকেসহ কয়েকজন নারীকে ইঙ্গিত করে নানা ভঙ্গিতে তাকিয়ে বাজে বাজে কথা বলছিল। কেউ কেউ পত্রিকার কাগজ ছিঁড়ে গোল করে ঢিল ছুড়ে দিচ্ছিল।
তারপর আর ঘুম হয়নি মা-মেয়ের। ভুক্তভোগী এ নারী বলছিলেন, এ এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা যা কোনোদিন ভোলা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ যুগান্তরকে জানান, লাইনগুলো এতই ঘেঁষে যে, কে কাকে কী বলছে তা লক্ষ্য সম্ভব হয় না।
তবে তাদের সদস্যসহ র্যাব-বিজিবির সদস্যরা স্টেশনে সারারাত দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ তাদের সদস্যরা সতর্কাবস্থায় থাকবেন। নারীদের জন্য একাধিক কাউন্টার থাকা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে তাদের সদস্যসহ র্যাব-বিজিবির সদস্যরা স্টেশনে সারারাত দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ তাদের সদস্যরা সতর্কাবস্থায় থাকবেন। নারীদের জন্য একাধিক কাউন্টার থাকা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া শনিবার দেয়া হবে ২৪ তারিখের ট্রেনের টিকিট। ঈদের আগের দিনের টিকিট হওয়ায় এদিন ভীড় আরও বেশী হবে বলে ধারণা করছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
একটি টিকিটের জন্য রাতভর অপেক্ষা [ভিডিওসহ]
ঢাকা
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৯:০৭ পিএম |
সোনার হরিণ একটি টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে সারা রাত। তারপরেও নিশ্চয়তা নেই টিকিটের। তবুও সারা রাত ধরে নির্ঘুম কাটাচ্ছেন টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে।
শুধু পুরুষরাই নয়, রয়েছেন অনেক মহিলাও। শুধুমাত্র একটি টিকিটের প্রত্যাশায়। এমনই চিত্র কমলাপুর রেল স্টেশনের।
শুধু পুরুষরাই নয়, রয়েছেন অনেক মহিলাও। শুধুমাত্র একটি টিকিটের প্রত্যাশায়। এমনই চিত্র কমলাপুর রেল স্টেশনের।
টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিকিট পাওয়ার জন্য আগের দিনে সন্ধ্যা থেকেই লাইনে দাঁড়াতে হয়। সারা রাত ধরেই অবস্থান করতে হয় টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য।
তবে নারীদের জন্য রাতে লাইনে দাড়িয়ে থাকা যেনো এক দুঃস্বপ্ন। পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মহিলা টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়ান সালমা বেগম। ভয়, উৎকণ্ঠা আর শংকা নিয়েই কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বসে।
আর মধ্যরাত হতেই পাশের লাইনে থাকা কয়েক যুবক অশ্লীল প্যারোডি গান গাওয়া শুরু করে। তাকেসহ কয়েকজন নারীকে ইঙ্গিত করে নানা ভঙ্গিতে তাকিয়ে বাজে বাজে কথা বলছিল। কেউ কেউ পত্রিকার কাগজ ছিঁড়ে গোল করে ঢিল ছুড়ে দিচ্ছিল।
তারপর আর ঘুম হয়নি মা-মেয়ের। ভুক্তভোগী এ নারী বলছিলেন, এ এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা যা কোনোদিন ভোলা যাবে না।
আর মধ্যরাত হতেই পাশের লাইনে থাকা কয়েক যুবক অশ্লীল প্যারোডি গান গাওয়া শুরু করে। তাকেসহ কয়েকজন নারীকে ইঙ্গিত করে নানা ভঙ্গিতে তাকিয়ে বাজে বাজে কথা বলছিল। কেউ কেউ পত্রিকার কাগজ ছিঁড়ে গোল করে ঢিল ছুড়ে দিচ্ছিল।
তারপর আর ঘুম হয়নি মা-মেয়ের। ভুক্তভোগী এ নারী বলছিলেন, এ এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা যা কোনোদিন ভোলা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ যুগান্তরকে জানান, লাইনগুলো এতই ঘেঁষে যে, কে কাকে কী বলছে তা লক্ষ্য সম্ভব হয় না।
তবে তাদের সদস্যসহ র্যাব-বিজিবির সদস্যরা স্টেশনে সারারাত দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ তাদের সদস্যরা সতর্কাবস্থায় থাকবেন। নারীদের জন্য একাধিক কাউন্টার থাকা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে তাদের সদস্যসহ র্যাব-বিজিবির সদস্যরা স্টেশনে সারারাত দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ তাদের সদস্যরা সতর্কাবস্থায় থাকবেন। নারীদের জন্য একাধিক কাউন্টার থাকা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া শনিবার দেয়া হবে ২৪ তারিখের ট্রেনের টিকিট। ঈদের আগের দিনের টিকিট হওয়ায় এদিন ভীড় আরও বেশী হবে বলে ধারণা করছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।