ডা. তানজীলা জাহান মিথিলা আত্মহত্যার ঘটনায় তার স্বামী ডা. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর বুকের ব্যাথা নিয়ে সোমবার হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।
তার অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে ডা. মিথিলার পরিবারের অভিযোগ, মামলার কথা শোনার পর ডা. মিজানুর অসুস্থ হয়েছেন। মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন মিজানুর।
গত রোববার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টার থেকে ডা. মিথিলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের সময় ওই কক্ষ থেকে ডা. মিথিলার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে লেখা ছিল-'আমার জন্য আর কেউকে অসুখী হতে হবে না'।
ডা. মিথিলার মা রোকেয়া বেগম বলেন, মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। স্বাচিপের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন ডা. মিজানুর। বাসায়ও আসতেন না ঠিকমত। এমনকি মিথিলা ফোন করলে রিসিভও করতেন না।
তিনি বলেন, বাসায় না আসা ও ফোন না ধরার বিষয়টি মিথিলা কয়েকদিন ধরে তাকে (মা রোকেয়া) জানাতেন। মিথিলার আত্মহত্যার জন্য মিজানুরকে দায়ী করছেন তিনি।
সোমবার ভোরে মিথিলার মামা খন্দকার শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ডা. মিজানুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করেছেন। এজাহারে তিনি বলেন, মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে তার স্বামী ডা. মিজানুর বাধ্য করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা যুগান্তরকে জানান, যেহেতু আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় ডা. মিজানুরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মিথিলার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মিথিলা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি চাকুরিতে ঢোকেননি। ২০১৪ সালের ১৪ মে পারিবারিকভাবে ডা. মিথিলা ও ডা. মিজানুরের বিয়ে হয়।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর বুকের ব্যাথা নিয়ে সোমবার হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।
তার অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে ডা. মিথিলার পরিবারের অভিযোগ, মামলার কথা শোনার পর ডা. মিজানুর অসুস্থ হয়েছেন। মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন মিজানুর।
গত রোববার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টার থেকে ডা. মিথিলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের সময় ওই কক্ষ থেকে ডা. মিথিলার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে লেখা ছিল-'আমার জন্য আর কেউকে অসুখী হতে হবে না'।
ডা. মিথিলার মা রোকেয়া বেগম বলেন, মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। স্বাচিপের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন ডা. মিজানুর। বাসায়ও আসতেন না ঠিকমত। এমনকি মিথিলা ফোন করলে রিসিভও করতেন না।
তিনি বলেন, বাসায় না আসা ও ফোন না ধরার বিষয়টি মিথিলা কয়েকদিন ধরে তাকে (মা রোকেয়া) জানাতেন। মিথিলার আত্মহত্যার জন্য মিজানুরকে দায়ী করছেন তিনি।
সোমবার ভোরে মিথিলার মামা খন্দকার শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ডা. মিজানুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করেছেন। এজাহারে তিনি বলেন, মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে তার স্বামী ডা. মিজানুর বাধ্য করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা যুগান্তরকে জানান, যেহেতু আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় ডা. মিজানুরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মিথিলার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মিথিলা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি চাকুরিতে ঢোকেননি। ২০১৪ সালের ১৪ মে পারিবারিকভাবে ডা. মিথিলা ও ডা. মিজানুরের বিয়ে হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
\'আমার জন্য আর কাউকে অসুখী হতে হবে না\'
ঢাকা
১৬ নভেম্বর ২০১৫, ০৭:৫১ পিএম |
ডা. তানজীলা জাহান মিথিলা আত্মহত্যার ঘটনায় তার স্বামী ডা. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর বুকের ব্যাথা নিয়ে সোমবার হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।
তার অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে ডা. মিথিলার পরিবারের অভিযোগ, মামলার কথা শোনার পর ডা. মিজানুর অসুস্থ হয়েছেন। মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন মিজানুর।
গত রোববার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টার থেকে ডা. মিথিলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের সময় ওই কক্ষ থেকে ডা. মিথিলার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে লেখা ছিল-'আমার জন্য আর কেউকে অসুখী হতে হবে না'।
ডা. মিথিলার মা রোকেয়া বেগম বলেন, মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। স্বাচিপের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন ডা. মিজানুর। বাসায়ও আসতেন না ঠিকমত। এমনকি মিথিলা ফোন করলে রিসিভও করতেন না।
তিনি বলেন, বাসায় না আসা ও ফোন না ধরার বিষয়টি মিথিলা কয়েকদিন ধরে তাকে (মা রোকেয়া) জানাতেন। মিথিলার আত্মহত্যার জন্য মিজানুরকে দায়ী করছেন তিনি।
সোমবার ভোরে মিথিলার মামা খন্দকার শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ডা. মিজানুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করেছেন। এজাহারে তিনি বলেন, মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে তার স্বামী ডা. মিজানুর বাধ্য করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা যুগান্তরকে জানান, যেহেতু আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় ডা. মিজানুরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মিথিলার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মিথিলা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি চাকুরিতে ঢোকেননি। ২০১৪ সালের ১৪ মে পারিবারিকভাবে ডা. মিথিলা ও ডা. মিজানুরের বিয়ে হয়।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর বুকের ব্যাথা নিয়ে সোমবার হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন।
তার অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে ডা. মিথিলার পরিবারের অভিযোগ, মামলার কথা শোনার পর ডা. মিজানুর অসুস্থ হয়েছেন। মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন মিজানুর।
গত রোববার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টার থেকে ডা. মিথিলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের সময় ওই কক্ষ থেকে ডা. মিথিলার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে লেখা ছিল-'আমার জন্য আর কেউকে অসুখী হতে হবে না'।
ডা. মিথিলার মা রোকেয়া বেগম বলেন, মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। স্বাচিপের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন ডা. মিজানুর। বাসায়ও আসতেন না ঠিকমত। এমনকি মিথিলা ফোন করলে রিসিভও করতেন না।
তিনি বলেন, বাসায় না আসা ও ফোন না ধরার বিষয়টি মিথিলা কয়েকদিন ধরে তাকে (মা রোকেয়া) জানাতেন। মিথিলার আত্মহত্যার জন্য মিজানুরকে দায়ী করছেন তিনি।
সোমবার ভোরে মিথিলার মামা খন্দকার শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ডা. মিজানুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করেছেন। এজাহারে তিনি বলেন, মিথিলাকে আত্মহত্যা করতে তার স্বামী ডা. মিজানুর বাধ্য করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা যুগান্তরকে জানান, যেহেতু আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় ডা. মিজানুরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মিথিলার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মিথিলা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি চাকুরিতে ঢোকেননি। ২০১৪ সালের ১৪ মে পারিবারিকভাবে ডা. মিথিলা ও ডা. মিজানুরের বিয়ে হয়।